Skip to main content

۞ وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُوْنَ لِيَنْفِرُوْا كَاۤفَّةًۗ فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَاۤىِٕفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوْا فِى الدِّيْنِ وَلِيُنْذِرُوْا قَوْمَهُمْ اِذَا رَجَعُوْٓا اِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُوْنَ ࣖ   ( التوبة: ١٢٢ )

And not
وَمَا
এবং না
is
كَانَ
সঙ্গত (ছিলো)
(for) the believers
ٱلْمُؤْمِنُونَ
মু'মিনদের (জন্যে যে)
that they go forth
لِيَنفِرُوا۟
যেন তারা বের হবে
all together
كَآفَّةًۚ
সবাই (একযোগে)
So if not
فَلَوْلَا
আর কেন না
go forth
نَفَرَ
বের হলো
from
مِن
হতে
every
كُلِّ
প্রত্যেক
group
فِرْقَةٍ
দলের
among them
مِّنْهُمْ
মধ্য থেকে তাদের
a party
طَآئِفَةٌ
একটি অংশ
that they may obtain understanding
لِّيَتَفَقَّهُوا۟
যেন তারা গভীর জ্ঞান অনুশীলন করতো
in
فِى
ব্যাপারে
the religion
ٱلدِّينِ
দীনের
and that they may warn
وَلِيُنذِرُوا۟
এবং যেন তারা সতর্ক করে
their people
قَوْمَهُمْ
সম্প্রদায়কে তাদের
when
إِذَا
যখন
they return
رَجَعُوٓا۟
তারা ফিরে যায়
to them
إِلَيْهِمْ
দিকে তাদের
so that they may
لَعَلَّهُمْ
যাতে তারা(এভাবে)
beware
يَحْذَرُونَ
(ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে) সতর্ক থাকে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

মু’মিনদের সকলের একসঙ্গে অভিযানে বের হওয়া ঠিক নয়। তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না যাতে তারা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানের অনুশীলন করতে পারে এবং ফিরে আসার পর তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে যাতে তারা (অসদাচরণ) থেকে বিরত হয়?

English Sahih:

And it is not for the believers to go forth [to battle] all at once. For there should separate from every division of them a group [remaining] to obtain understanding in the religion and warn [i.e., advise] their people when they return to them that they might be cautious.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর বিশ্বাসীদের জন্য সঙ্গত নয় যে, তারা (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়ে; সুতরাং তাদের প্রত্যেকটি বড় দল হতে এক একটি ছোট দল বহির্গত হয় না কেন, যাতে অবশিষ্ট লোক ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে থাকে এবং যাতে তারা নিজ সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে এলে তাদেরকে সতর্ক করতে পারে। যাতে তারা সাবধান হতে পারে। [১]

[১] কোন কোন তাফসীরবিদের নিকট জিহাদের আদেশের সাথে এই আয়াতের সম্পর্ক রয়েছে। উদ্দেশ্য হল যে, যখন পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কঠিন শাস্তি ও ডাঁট-ধমকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, তখন সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)গণ বড় সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন এবং যখনই জিহাদের সময় আসত, তখনই সকলেই তাতে শরীক হওয়ার চেষ্টা করতেন। এই আয়াতে তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, সমস্ত জিহাদ এমন নয় যে, তাতে সকলের শরীক হওয়া জরুরী হবে (যেমন তাবুক যুদ্ধে জরুরী ছিল)। বরং এক দলের শরীক হওয়াই যথেষ্ট হবে। তাঁদের নিকট لِيَتَفَقَّهُوا এর সম্বোধিত ব্যক্তি ওরা, যারা জিহাদে অংশ নেবে না। অর্থাৎ একদল জিহাদ করতে যাবে এবং تَبقَى طَائِفَة (বাক্যটি ঊহ্য হবে) এক দল সেখানে থেকে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করবে। অতঃপর মুজাহিদগণ যখন ফিরে আসবে, তখন তাদেরকেও দ্বীনের বিধান অবগত করিয়ে ভীতি প্রদর্শন করবে। এই আয়াতের দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হল যে, জিহাদের সাথে এই আয়াতের কোন সম্পর্ক নেই; বরং এতে দ্বীনের শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব ও তার প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা এবং তার পদ্ধতির কথা বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ, যে কোন গোত্র বা জামাআত থেকে কিছু মানুষ দ্বীনী শিক্ষা অর্জনের জন্য আপন বাড়ি-ঘর ছেড়ে মাদ্রাসা বা জ্ঞান লাভের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তা অর্জন করবে এবং শিক্ষা নিয়ে ফিরে এসে স্বগোত্রের লোকদেরকে ওয়ায-নসীহত করবে। দ্বীনের জ্ঞান লাভ করার অর্থ হল দ্বীনের আদেশ ও নিষেধের জ্ঞান অর্জন করা যাতে আল্লাহর আদেশ পালন করতে পারে আর আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু থেকে বাঁচতে পারে এবং স্বগোত্রেও ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধের কাজ করতে পারে।