وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِيْنُهٗ فَاُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ بِمَا كَانُوْا بِاٰيٰتِنَا يَظْلِمُوْنَ ( الأعراف: ٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যাদের পাল্লা হালকা হবে তারা হল যারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
English Sahih:
And those whose scales are light – they are the ones who will lose themselves for what injustice they were doing toward Our verses.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর যাদের ওজন হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতি করেছে, যেহেতু তারা আমার নিদর্শনাবলীকে প্রত্যাখ্যান করত। [১]
[১] এই আয়াতসমূহে আমলসমূহ ওজন করার বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। আর এটা হবে কিয়ামতের দিন। কুরআন কারীমের বিভিন্ন স্থানে এবং বহু হাদীসেও এ কথা আলোচিত হয়েছে। যার অর্থ হল, ওজন করার যন্ত্র (দাঁড়িপাল্লা) দ্বারা আমলসমূহ ওজন করা হবে। সুতরাং যার নেকীর পাল্লা ভারী হবে, সে সফলকাম হবে। আর যার পাপের পাল্লা ভারী হবে, সে হবে অসফল। কিন্তু আমলসমূহ তো বিমূর্ত অশরীরী বস্তু যার বাহ্যিক কোন আকার ও ওজন নেই, অতএব তা কিভাবে ওজন করা হবে? এ ব্যাপারে একটি মত হল, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেগুলোকে বাহ্যিক রূপ দান করবেন, অতঃপর সেগুলোর ওজন হবে। দ্বিতীয় মত হল, যে দপ্তর ও খাতাসমূহে আমলসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়, সেগুলোকে ওজন করা হবে। তৃতীয় মত হল, স্বয়ং আমলকারীকে ওজন করা হবে। এই তিনটি মত পোষণকারীদের কাছে স্ব স্ব মতের সমর্থনে অনেক সহীহ হাদীস ও আষার (সাহাবীদের উক্তিসমূহ) বিদ্যমান রয়েছে। এই জন্যই ইমাম ইবনে কাসীর বলেন, তিনটি মতই সঠিক হতে পারে। হতে পারে কখনো আমল, কখনো আমলনামা এবং কখনো আমলকারীকে ওজন করা হবে। (দলীলের জন্য দ্রষ্টব্যঃ তাফসীর ইবনে কাসীর) যাই হোক, দাঁড়িপাল্লা ও আমল ওজন করার ব্যাপারটা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এটা অস্বীকার অথবা তার অপব্যাখ্যা করা ভ্রষ্টতা। আর বর্তমানে তো এটাকে অস্বীকার করার মোটেই কোন অবকাশ নেই। কেননা, এখন তো ওজন হয় না, এমন জিনিসও ওজন করা হচ্ছে।