وَهُوَ الَّذِيْ يُرْسِلُ الرِّيٰحَ بُشْرًاۢ بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖۗ حَتّٰٓى اِذَآ اَقَلَّتْ سَحَابًا ثِقَالًا سُقْنٰهُ لِبَلَدٍ مَّيِّتٍ فَاَنْزَلْنَا بِهِ الْمَاۤءَ فَاَخْرَجْنَا بِهٖ مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِۗ كَذٰلِكَ نُخْرِجُ الْمَوْتٰى لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ ( الأعراف: ٥٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তিনি তাঁর রহমতের পূর্বে সুসংবাদের ঘোষক হিসেবে বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর যখন তা মেঘের ভারী বোঝা বহন করে, তখন আমি তাকে মৃত ভূখন্ডের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাই, যাত্থেকে আমি পানি বর্ষণ করি, অতঃপর তাত্থেকে আমি সর্বপ্রকার ফল উৎপন্ন করি। এভাবেই আমি মৃতকে জীবিত করি যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
English Sahih:
And it is He who sends the winds as good tidings before His mercy [i.e., rainfall] until, when they have carried heavy rainclouds, We drive them to a dead land and We send down rain therein and bring forth thereby [some] of all the fruits. Thus will We bring forth the dead; perhaps you may be reminded.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তিনিই স্বীয় করুণার (বৃষ্টির) প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন।[১] শেষ পর্যন্ত উক্ত বাতাস যখন (পানি-ভরা) ভারী মেঘমালা বহন করে আনে,[২] তখন কোন নির্জীব ভূখন্ডের দিকে আমি তা প্রেরণ করি, অতঃপর তা থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি। তারপর তা দিয়ে সর্ববিধ ফলমূল উৎপাদন করি।[৩] এভাবেই আমি মৃতকে জীবিত করে থাকি। যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পার। [৪]
[১] স্বীয় উলূহিয়্যাত (উপাস্যত্ব) এবং রুবূবিয়্যাত (প্রতিপালকত্ব)এর প্রমাণে মহান আল্লাহ আরো দলীলাদি বর্ণনা করে তার মাধ্যমে তিনি আবারও মৃতদেরকে জীবিত করার কথা সুসাব্যস্ত করছেন। بُشْرًا হল بَشِيْرٌ-এর বহুবচন। আর এখানে رَحْمَةٌ বলতে مَطَرٌ (বৃষ্টি) বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বে (সুসংবাদবাহীরূপে) তিনি এমন শীতল হাওয়া প্রেরণ করেন, যা হয় বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বাভাস।
[২] ভারী মেঘমালা বলতে পানিতে পরিপূর্ণ মেঘ।
[৩] সর্ববিধ ফল, যেগুলোর রঙ, স্বাদ, সুগন্ধ এবং আকার-আকৃতি একে অন্য থেকে ভিন্ন।
[৪] যেভাবে আমি পানির মাধ্যমে মৃত যমীনের মধ্যে সজীবতা সৃষ্টি করি এবং সে (যমীন) বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ, ফসল ও ফল-মূল উৎপাদন করে, ঠিক এইভাবে কিয়ামতের দিন মৃত মানুষগুলোকে যারা মাটির সাথে মিশে মাটি হয়ে যাবে তাদেরকেও আমি পুনরায় জীবিত করব এবং তাদের হিসাব নেব।