قُلْ اَمَرَ رَبِّيْ بِالْقِسْطِۗ وَاَقِيْمُوْا وُجُوْهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ەۗ كَمَا بَدَاَكُمْ تَعُوْدُوْنَۗ ( الأعراف: ٢٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন’, আর প্রত্যেক সলাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে (তাঁর প্রতি) নিবদ্ধ কর, তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে (তোমাদের মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে।
English Sahih:
Say, [O Muhammad], "My Lord has ordered justice and that you direct yourselves [to the Qiblah] at every place [or time] of prostration, and invoke Him, sincere to Him in religion." Just as He originated you, you will return [to life] –
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[১] প্রত্যেক নামাযে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখ[২] এবং তাঁরই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁকে ডাক। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমরা সেভাবে ফিরে আসবে।’
[১] 'ন্যায় প্রতিষ্ঠা' বলতে এখানে কারো কারো নিকট لاَإِلَهَ إلاَّ اللهُ অর্থাৎ, তাওহীদ প্রতিষ্ঠা বুঝানো হয়েছে।
[২] ইমাম শাওকানী এর অর্থ বর্ণনা করেছেন, "তোমাদের নামাযে নিজেদের চেহারাকে ক্বিবলার দিকে করে নাও, তাতে তোমরা যে মসজিদেই থাক না কেন।" আর ইমাম ইবনে কাসীর এই 'স্থির বা সোজা' রাখা বলতে রসূল (সাঃ)-এর আনুগত্য এবং পরবর্তী বাক্য থেকে আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাবান হওয়াকে বুঝিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক আমল কবুল হওয়ার জন্য জরুরী হল তা শরীয়তের অনুবর্তী হওয়া এবং দ্বিতীয়তঃ তা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হওয়া। আয়াতে এই কথাগুলোর প্রতি তাকীদ করা হয়েছে।