Skip to main content

قَالَ مَا مَنَعَكَ اَلَّا تَسْجُدَ اِذْ اَمَرْتُكَ ۗقَالَ اَنَا۠ خَيْرٌ مِّنْهُۚ خَلَقْتَنِيْ مِنْ نَّارٍ وَّخَلَقْتَهٗ مِنْ طِيْنٍ   ( الأعراف: ١٢ )

(Allah) said
قَالَ
(আল্লাহ) বললেন
"What
مَا
"কিসে
prevented you
مَنَعَكَ
তোমাকে বাধা দিলো
that not
أَلَّا
যে না
you prostrate
تَسْجُدَ
তুমি সিজদা করলে (আদমকে)
when
إِذْ
যখন
I commanded you?"
أَمَرْتُكَۖ
তোমাকে আমি নির্দেশ দিয়েছি"
(Shaitaan) said
قَالَ
(ইবলীস) বললো
"I am
أَنَا۠
"আমি
better
خَيْرٌ
উত্তম
than him
مِّنْهُ
চেয়েও তার
You created me
خَلَقْتَنِى
আপনি সৃষ্টি করেছেন আমাকে
from
مِن
হতে
fire
نَّارٍ
আগুন
and You created him
وَخَلَقْتَهُۥ
এবং আপনি সৃষ্টি করেছেন তাকে
from
مِن
দিয়ে
clay"
طِينٍ
কাদা মাটি"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(আল্লাহ) বললেন, ‘আমি নির্দেশ দেয়ার পরেও কিসে তোকে সাজদাহ থেকে নিবৃত্ত রাখল?’ সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম, আমাকে সৃষ্টি করেছ আগুন থেকে আর তাকে সৃষ্টি করেছ কাদা থেকে।’

English Sahih:

[Allah] said, "What prevented you from prostrating when I commanded you?" [Satan] said, "I am better than him. You created me from fire and created him from clay [i.e., earth]."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনি বললেন, ‘আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম, তখন কিসে তোমাকে নিবৃত্ত করল যে, তুমি সিজদাহ করলে না?’[১] সে বলল, ‘আমি ওর (আদম) চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তুমি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছ এবং ওকে সৃষ্টি করেছ কাদামাটি দ্বারা।’ [২]

[১] أَلاَّ تَسْجُدَ তে لا অতিরিক্ত। অর্থাৎ, أَنْ تَسْجُدَ (সিজদা করতে তোমাকে বাধা কে দিল?) অথবা কিছু শব্দ ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, "কোন্ জিনিস তোমাকে বাধ্য করল সিজদা না করতে?" (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর) শয়তান ফিরিশতাদের জাতিভুক্ত ছিল না। বরং স্বয়ং কুরআনের বিবৃতি অনুযায়ী সে ছিল জ্বিন জাতির একজন। (সূরা কাহা্ফ ১৮;৫০) তবে আসমানে ফিরিশতাদের সাথে থাকার কারণে সেও আল্লাহর সিজদা করতে বলার সেই আদেশের আওতাভুক্ত ছিল, যা তিনি ফিরিশতাদেরকে করেছিলেন। আর এই কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তিরস্কারও করা হয়েছে। যদি সে এই আদেশে শামিল না থাকত, তাহলে না তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হত, আর না সে (আল্লাহর দরবার থেকে) বিতাড়িত হত।

[২] শয়তানের এই ওজর আরো অপরাধমূলক। যেমন, বলা হয় যে, পাপের জন্য ওজর পেশ করা আরো বড় পাপ। প্রথমতঃ তার এই ধারণাই ভুল যে, অধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারীকে তার থেকে কম শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ব্যক্তির সম্মান প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে না। কারণ, প্রকৃত জিনিস হল আল্লাহর নির্দেশ পালন। তাঁর নির্দেশের সামনে কে শ্রেষ্ঠ আর কে শ্রেষ্ঠ নয় এ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করাই হল তাঁর অবাধ্যতা। দ্বিতীয়তঃ সে উত্তম হওয়ার দলীল এটাই দিল যে, আমি আগুন থেকে সৃষ্ট, আর সে মাটি থেকে। কিন্তু সে এই মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি ভ্রূক্ষেপও করল না যে, তাঁকে আল্লাহ তাঁর নিজ হাত দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং নিজের পক্ষ থেকে তাঁর মধ্যে আত্মা দান করেছেন। দুনিয়ার কোন জিনিস কি এই সম্মানের মোকাবেলা করতে পারে? তৃতীয়তঃ স্পষ্ট উক্তির মোকাবেলায় সে কিয়াস (অনুমিতি) করল, যা কোন আল্লাহভীরু বান্দার কাজ হতে পারে না। এ ছাড়াও তার কিয়াস (অনুমিতি)ও বাতিল। আগুন মাটি থেকে কিভাবে উত্তম? আগুনের মধ্যে তেজি, উত্তাপ এবং দহন ক্ষমতা ছাড়া আর কি আছে? পক্ষান্তরে মাটির মধ্যে আছে স্থিরতা, দৃঢ়তা। এর মধ্যে আছে উদ্ভিদ-বৃদ্ধি, উৎপাদন এবং বস্তু পরিশুদ্ধ করণের যোগ্যতা। আর এ গুণগুলো আগুনের চেয়ে অবশ্যই উত্তম এবং বেশী উপকারীও। এই আয়াত থেকে জানা গেল যে, শয়তান সৃষ্টি হয়েছে আগুন থেকে। যেমন, হাদীসেও এসেছে যে, "ফেরেশতাকুল নূর থেকে, ইবলীস অগ্নিশিখা থেকে এবং আদম (আঃ)-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।" (সহীহ মুসলিম, যুহ্দ অধ্যায়)