তারা সুদিনের মুখ দেখলে বলত, ‘এটাই তো আমাদের প্রাপ্য।’ আর যখন তারা দুর্দিনে পতিত হত তখন মূসা আর তার সঙ্গী-সাথীদেরকে অলক্ষুণে বলে দোষারোপ করত। প্রকৃতপক্ষে তাদের মন্দভাগ্য তো আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
তারা বলল, ‘আমাদেরকে যাদুগ্রস্ত করার জন্য তুমি যে কোন নিদর্শনই নিয়ে আস না কেন, আমরা কিছুতেই তোমাতে বিশ্বাস করব না।’
অতঃপর আমি তাদের উপর প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্তের বিপদ পাঠিয়েছিলাম সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে, কিন্তু তারা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। তারা ছিল এক অপরাধী জাতি।
যখন তাদের উপর কোন বালা-মুসিবত আসত তখন তারা বলত, ‘হে মূসা! তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা জানাও যে মতে তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার করেছেন, যদি আমাদের থেকে বিপদ দূর করে দাও তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাতে ঈমান আনব আর বানী ইসরাঈলকে অবশ্যই তোমার সাথে পাঠিয়ে দেব।’
অতঃপর যখন তাদের উপর থেকে বিপদ সরিয়ে দিতাম একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যা তাদেরকে পূর্ণ করতে হত, তখন তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করত।
তখন আমি তাদের উপর প্রতিশোধ নিলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারলাম কেননা তারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করেছিল আর এ ব্যাপারে তারা ছিল চিন্তা-ভাবনাহীন।
আর আমি দুর্বল করে রাখা লোকেদেরকে সেই যমীনের পূর্বের আর পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিলাম যাতে আমি কল্যাণ নিহিত রেখেছি। এভাবে বানী ইসরাঈলের ব্যাপারে তাদের ধৈর্য ধারণের কারণে তোমার প্রতিপালকের কল্যাণময় অঙ্গীকার পূর্ণ হল আর ফির‘আওন ও তার লোকজনের গৌরবময় কাজ ও সুন্দর প্রাসাদগুলোকে ধ্বংস করে দিলাম।
বানী ইসরাঈলকে আমি সমুদ্র পার করিয়ে দিলাম, অতঃপর তারা এমন এক জাতির নিকট এলো যারা ছিল প্রতিমা পূজারী। মূসার লোকজন বলল, হে মূসা! আমাদের জন্যও ‘কোন দেবতা বানিয়ে দাও যেমন তাদের দেবতা আছে। মূসা বলল, তোমরা হলে এমন এক সম্প্রদায় যারা মূর্খদের মতো আচরণ করে।’
এসব লোক যাতে মত্ত আছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে আর তারা যে সব কাজ করছে তা সব বাতিল।
সে বলল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য অন্য ইলাহ খুঁজব অথচ তিনি তোমাদেরকে বিশ্বজগতের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন?’