وَاِذَا رَاَوْا تِجَارَةً اَوْ لَهْوًا ۨانْفَضُّوْٓا اِلَيْهَا وَتَرَكُوْكَ قَاۤىِٕمًاۗ قُلْ مَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ مِّنَ اللَّهْوِ وَمِنَ التِّجَارَةِۗ وَاللّٰهُ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ ࣖ ( الجمعة: ١١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা যখন ব্যবসায় অথবা ক্রীড়া কৌতুক দেখে তখন তারা সেদিকে ছুটে যায় আর তোমাকে রেখে যায় দাঁড়ানো অবস্থায়। বল- ‘আল্লাহর কাছে যা আছে তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসার চেয়ে উত্তম।’ আর আল্লাহ সর্বাপেক্ষা উত্তম রিযকদাতা।
English Sahih:
But [on one occasion] when they saw a transaction or a diversion, [O Muhammad], they rushed to it and left you standing. Say, "What is with Allah is better than diversion and than a transaction, and Allah is the best of providers."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যখন তারা কোন ব্যবসা বা খেল-তামাশা দেখে, তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে ওর দিকে ছুটে যায়।[১] বল, ‘আল্লাহর নিকট যা আছে[২] তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট।[৩] আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ রুযীদাতা।’ [৪]
[১] একদা নবী (সাঃ) জুমআর দিন খুৎবা দিচ্ছিলেন, ইত্যবসরে এক বাণিজ্য-কাফেলা এসে উপস্থিত হল। লোকেরা জানতে পারার সাথে সাথেই খুৎবা (শোনা) বাদ দিয়ে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাইরে বেচা-কেনার জন্য চলে গেল। মসজিদে কেবল ১২ জন রয়ে গেল। এ ব্যাপারেই এই আয়াত নাযিল হয়। (বুখারীঃ সুরা জুমআর তফসীর, মুসলিমঃ জুমআহ অধ্যায়) انْفِضَاضٌ এর অর্থ হল, ঝুঁকে পড়া, মনোযোগী হওয়া, দৌড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়া। إِلَيْهَا (ওর দিকে)এর মধ্যে 'ওর' সর্বনাম দিয়ে تِجَارَةً (ব্যবসা)এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এখানে কেবল ব্যবসার প্রতি ইঙ্গিতকেই যথেষ্ট মনে করা হয়েছে। কেননা, ব্যবসা বৈধ ও জরুরী হওয়া সত্ত্বেও যদি তা খুৎবা চলাকালীন অবস্থায় নিন্দিত হয়, তাহলে খেলা-ধূলা ইত্যাদির নিন্দিত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে কি? قَائِمًا থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জুমআর খুৎবা দাঁড়িয়ে দেওয়া সুন্নত। হাদীসেও এসেছে যে, রসূল (সাঃ)-এর খুৎবা দুটো হত। উভয় খুৎবার মধ্যে তিনি একবার বসতেন। খুৎবায় তিনি কুরআন পড়তেন এবং লোকদের ওয়ায-নসীহত করতেন। (মুসলিম, জুমআহ অধ্যায়)
[২] অর্থাৎ, আল্লাহ ও রসূলের যাবতীয় বিধি-বিধানের আনুগত্য করার যে মহা প্রতিদান আছে।
[৩] যার প্রতি তোমরা মসজিদ থেকে দৌড়ে বের হয়ে গেলে এবং জুমআর খুৎবাও শুনলে না।
[৪] অতএব তাঁরই কাছে রুযী চাও এবং আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভের অসীলা অবলম্বন কর। তাঁর আনুগত্য এবং তাঁর প্রতি প্রত্যাবর্তন রুযী লাভের অনেক বড় মাধ্যম।