وَاِذْ قَالَ مُوْسٰى لِقَوْمِهٖ يٰقَوْمِ لِمَ تُؤْذُوْنَنِيْ وَقَدْ تَّعْلَمُوْنَ اَنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ اِلَيْكُمْۗ فَلَمَّا زَاغُوْٓا اَزَاغَ اللّٰهُ قُلُوْبَهُمْۗ وَاللّٰهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْفٰسِقِيْنَ ( الصف: ٥ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
স্মরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ, তোমরা তো জানই যে, আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রসূল!’ অতঃপর তারা যখন বাঁকা পথ ধরল, আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বাঁকা করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারীদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
English Sahih:
And [mention, O Muhammad], when Moses said to his people, "O my people, why do you harm me while you certainly know that I am the messenger of Allah to you?" And when they deviated, Allah caused their hearts to deviate. And Allah does not guide the defiantly disobedient people.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(স্মরণ কর,) যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ অথচ তোমরা জান যে, আমি তোমাদের প্রতি (প্রেরিত) আল্লাহর রসূল?’ [১] অতঃপর তারা যখন বক্রপথ অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন।[২] আর আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
[১] মূসা (আঃ) আল্লাহর সত্য রসূল --এ কথা জানা সত্ত্বেও বনী ইস্রাঈল তাঁকে তাদের জবান দ্বারা কষ্ট দিত। এমনকি, তাঁর ব্যাপারে দৈহিক কিছু ত্রুটির কথাও তারা বলে বেড়াত, অথচ সে ত্রুটি ও ব্যাধি তাঁর মধ্যে ছিল না।
[২] অর্থাৎ, জানা সত্ত্বেও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। হকের পরিবর্তে বাতিল, ভালোর পরিবর্তে মন্দ এবং ঈমানের পরিবর্তে কুফরীর পথ অবলম্বন করল। ফলে মহান আল্লাহ শাস্তি স্বরূপ তাদের অন্তরকে সব সময়ের জন্য হিদায়াত থেকে ফিরিয়ে দিলেন। কেননা, এটাই হল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। অব্যাহতভাবে কুফরী ও ভ্রষ্টতার উপর অবিচল থাকলে, তা অন্তঃকরণে মোহর লেগে যাওয়ার কারণ হয়। অতঃপর অন্যায়, কুফরী এবং যুলুম-অত্যাচার করা তার সবভাবে পরিণত হয়ে যায়। যা কেউ পরিবর্তন করতে সক্ষম নয়। এই কারণে আয়াতের শেষাংশে বললেন যে, আল্লাহ কোন পাপাচারী অবাধ্যজনকে হিদায়াত দান করেন না। কারণ, এই ধরনের লোকদেরকে আল্লাহ তাঁর চিরাচরিত বিধান অনুযায়ী ভ্রষ্ট করে থাকেন। এখন তাকে কে পথ দেখাতে পারে, যাকে এই পথ থেকে আল্লাহই ভ্রষ্ট করে দিয়েছেন?