وَاِذَا جَاۤءَتْهُمْ اٰيَةٌ قَالُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ حَتّٰى نُؤْتٰى مِثْلَ مَآ اُوْتِيَ رُسُلُ اللّٰهِ ۘ اَللّٰهُ اَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسٰلَتَهٗۗ سَيُصِيْبُ الَّذِيْنَ اَجْرَمُوْا صَغَارٌ عِنْدَ اللّٰهِ وَعَذَابٌ شَدِيْدٌۢ بِمَا كَانُوْا يَمْكُرُوْنَ ( الأنعام: ١٢٤ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যখন তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে তখন তারা বলে, ‘আমরা কক্ষনো বিশ্বাস করব না যতক্ষণ না আমাদেরকে তা দেয়া হয় যা আল্লাহর রসূলগণকে দেয়া হয়েছিল। (নির্বোধেরা এ আবদার করলেও) আল্লাহ খুব ভালভাবেই জানেন তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব কোথায় দিতে হবে, অপরাধীরা শীঘ্রই তাদের চক্রান্তের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর পক্ষ হতে লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।
English Sahih:
And when a sign comes to them, they say, "Never will we believe until we are given like that which was given to the messengers of Allah." Allah is most knowing of where [i.e., with whom] He places His message. There will afflict those who committed crimes debasement before Allah and severe punishment for what they used to conspire.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর যখন তাদের নিকট কোন নিদর্শন আসে, তখন তারা বলে, ‘আল্লাহর রসূলগণকে যা দেওয়া হয়েছিল, আমাদেরকে তা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কখনোও বিশ্বাস করব না।’[১] রসূলের পদ বা দায়িত্ব আল্লাহ কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন।[২] যারা অপরাধ করেছে, তাদের চক্রান্তের কারণে আল্লাহর নিকট হতে তাদের উপর লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি আপতিত হবে।
[১] অর্থাৎ, তাদের কাছেও ফিরিশতা অহী আনয়ন করুন এবং তাদের মাথাতেও নবুঅত ও রিসালাতের মুকুট পরানো হোক।
[২] অর্থাৎ, কাকে নবী বানানো যাবে, এ সিদ্ধান্ত (মানুষের হাতে নেই; বরং তা আছে) একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনিই সকল বিষয়ের হিকমত ও কল্যাণ সম্বন্ধে অবগত। আর তিনিই ভালো জানেন এ মহান পদের যোগ্যতম ব্যক্তি কে? মক্কার কোন চৌধুরী, জননেতা, নাকি আব্দুল্লাহ ও আমিনার অনাথ সন্তান?