আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর গৌরব ও মহিমা ঘোষণা করে। আর তিনি (আল্লাহ) পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
কিতাবধারীদের অন্তর্ভুক্ত কাফিরদেরকে আক্রমণের প্রথম ধাপেই তিনিই তাদের বাড়ী থেকে বের ক’রে দিলেন। তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বের হবে। আর তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহ (’র কবল) থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে এমন দিক থেকে পাকড়াও করলেন যা তারা ভাবতেও পারেনি। তিনি তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করলেন। তারা তাদের নিজেদের হাত দিয়েই নিজেদের ঘরবাড়ী ধ্বংস করল, আর মু’মিনদের হাতেও (ধ্বংস করাল)। অতএব হে দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষেরা! তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
আল্লাহ যদি তাদের জন্য নির্বাসন না লিখে দিতেন, তাহলে তিনি তাদেরকে দুনিয়াতেই অবশ্য অবশ্যই (অন্য) শাস্তি দিতেন, পরকালে তো তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি আছেই।
এর কারণ এই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রবল বিরোধিতা করেছে; আর যে-ই আল্লাহর বিরোধিতা করবে, আল্লাহ তাকে শাস্তিদানে বড়ই কঠোর।
তোমরা খেজুরের যে গাছগুলো কেটেছ আর যেগুলোকে তাদের মূলকান্ডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছ, তা আল্লাহর অনুমতিক্রমেই (করেছ)। আর (এ অনুমতি আল্লাহ এজন্য দিয়েছেন) যেন তিনি পাপাচারীদেরকে অপমানিত করেন।
আল্লাহ তাঁর রসূলকে তাদের কাছ থেকে যে ফায় (বিনা যুদ্ধে পাওয়া সম্পদ) দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়াও দৌড়াওনি, আর উটেও চড়নি, বরং আল্লাহ তাঁর রসূলগণকে যার উপর ইচ্ছে আধিপত্য দান করেন; আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
যে ধন-সম্পদ আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে নিয়ে তাঁর রসূলকে দিলেন তা আল্লাহর জন্য তাঁর রসূলের জন্য আর রসূলের আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন ও পথিকদের জন্য যাতে তা তোমাদের মধ্যকার সম্পদশালীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়। রসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাত্থেকে নিষেধ করে তাত্থেকে বিরত থাক, আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।
(আর এ সম্পদ) সে সব দরিদ্র মুহাজিরদের জন্য যাদেরকে তাদের বাড়ীঘর ও সম্পত্তি-সম্পদ থেকে উৎখাত করা হয়েছে। যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে, আর তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে সাহায্য করে। এরাই সত্যবাদী।
(আর এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা মুহাজিরদের আসার আগে থেকেই (মাদীনাহ) নগরীর বাসিন্দা ছিল আর ঈমান গ্রহণ করেছে। তারা তাদেরকে ভালবাসে যারা তাদের কাছে হিজরাত করে এসেছে। মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের অন্তরে কোন কামনা রাখে না, আর তাদেরকে (অর্থাৎ মুহাজিরদেরকে) নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয়- নিজেরা যতই অভাবগ্রস্ত হোক না কেন। বস্তুত; যাদেরকে হৃদয়ের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই সফলকাম।
(এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা অগ্রবর্তীদের পরে (ইসলামের ছায়াতলে) এসেছে। তারা বলে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আর আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কোন হিংসা বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি বড়ই করুণাময়, অতি দয়ালু।’
القرآن الكريم: | الحشر |
---|---|
আধিপত্য একটি আয়াত (سجدة): | - |
সূরা নাম (latin): | Al-Hasyr |
সূরা না: | 59 |
আয়াত: | 24 |
মোট শব্দ: | 445 |
মোট অক্ষর: | 1903 |
রুকু সংখ্যা: | 3 |
অবতীর্ণ: | মদিনা |
উদ্ঘাটন আদেশ: | 101 |
শ্লোক থেকে শুরু: | 5126 |