نَحْنُ جَعَلْنٰهَا تَذْكِرَةً وَّمَتَاعًا لِّلْمُقْوِيْنَۚ ( الواقعة: ٧٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি তাকে (অর্থাৎ আগুনকে) করেছি স্মারক (যা জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়) আর মরুর অধিবাসীদের জন্য দরকারী ও আরামের বস্তু।
English Sahih:
We have made it a reminder and provision for the travelers,
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আমি একে করেছি উপদেশের বিষয়[১] এবং মরুচারীদের প্রয়োজনীয় বস্তু। [২]
[১] এইভাবে যে, এর প্রভাব ও উপকারিতা বিস্ময়কর ব্যাপার। পৃথিবীর অসংখ্য জিনিস প্রস্তুত করণে এর প্রয়োজনীয়তার কথা অনস্বীকার্য। এটা আমার অসীম ক্ষমতার একটি নিদর্শন। তাছাড়া যেভাবে আমি পৃথিবীতে আগুন সৃষ্টি করেছি, অনুরূপ পরকালেও সৃষ্টি করার ক্ষমতা আমি রাখি। আর সেই আগুনের তাপ পৃথিবীর আগুনের তুলনায় ৬৯ গুণ বেশী হবে। যেমন এ কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
[২] مُقْوِيْنَ হল مُقْوِيْ এর বহুবচন। অর্থঃ قَوَآءٌ অর্থাৎ নির্জন মরুভূমিতে প্রবেশকারী। উদ্দেশ্য মুসাফির। অর্থাৎ, মুসাফির মরুভূমি এবং বন-জঙ্গলে এই গাছগুলো দ্বারা উপকৃত হয়। এ থেকে আলো ও তাপ গ্রহণ করে এবং ইন্ধন হিসাবেও কাজে লাগায়। কেউ কেউ مُقْوِين বলতে বুঝিয়েছেন এমন সব দরিদ্র মানুষকে, যাদের পেট ক্ষুধার কারণে খালি থাকে। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, مُسْتَمْتِعِيْنَ (উপকারিতা অর্জনকারী)। এতে ধনী, গরীব, গৃহবাসী ও মুসাফির সবাই এসে যায়। আর সবাই আগুন থেকে উপকৃত হয়। এই জন্যই হাদীসে যে তিনটি জিনিসকে সার্বজনীন রাখার ও তা থেকে কাউকে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে পানি ও ঘাস সহ আগুনও বটে। (আবূ দাউদঃ ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়, ইবনে মাজাহ) ইমাম ইবনে কাসীর এই মতটিকেই বেশী পছন্দ করেছেন।