(সেদিন) প্রত্যেক ব্যক্তি আসবে এমন অবস্থায় যে একজন (ফেরেশতা) তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসবে আর একজন (ফেরেশতা) থাকবে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে।
(বলা হবে) ‘এ দিন সম্পর্কে তুমি ছিলে উদাসীন। তোমার সামনে যে পর্দা ছিল তা আমি সরিয়ে দিয়েছি। (সে কারণে) তোমার দৃষ্টি আজ খুব তীক্ষ্ম।
তার সঙ্গী (ফেরেশতা) বলবে ‘এই যে আমার কাছে (‘আমালনামা) প্রস্তুত।’
(নির্দেশ দেয়া হবে) তোমরা উভয়ে প্রত্যেক অবাধ্য কাফিরকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।
(যারা ছিল) কল্যাণের প্রতিবন্ধক, সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দিগ্ধ চিত্ত।
যে আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছিল। কাজেই তোমরা উভয়ে তাকে কঠিন ‘আযাবে নিক্ষেপ কর।
তার সঙ্গী বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে বিদ্রোহী বানাইনি বরং সে নিজেই ছিল সুদূর গুমরাহীর মধ্যে।’
আল্লাহ বলবেন, ‘আমার সামনে বাদানুবাদ করো না, আমি আগেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই।
সে দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি?’