Skip to main content

আল মায়িদাহ শ্লোক ৩০

فَطَوَّعَتْ لَهٗ نَفْسُهٗ قَتْلَ اَخِيْهِ فَقَتَلَهٗ فَاَصْبَحَ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ   ( المائدة: ٣٠ )

Then prompted
فَطَوَّعَتْ
অত:পর উত্তেজিত করলো
to him
لَهُۥ
তাকে
his soul
نَفْسُهُۥ
প্রবৃত্তি তার
(to) kill
قَتْلَ
হত্যায়
his brother
أَخِيهِ
ভাইয়ের তার
so he killed him
فَقَتَلَهُۥ
অত:পর সে হত্যা করলো তাকে
and became
فَأَصْبَحَ
ফলে সে হলো
of
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
the losers
ٱلْخَٰسِرِينَ
ক্ষতিগ্রস্তদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর তার আত্মা তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। ফলতঃ সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

English Sahih:

And his soul permitted to him the murder of his brother, so he killed him and became among the losers.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর তার চিত্ত ভ্রাতৃ-হত্যায় তাকে উত্তেজিত করল, সুতরাং সে (কাবীল) তাকে (হাবীলকে) হত্যা করল, ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হল।[১]

[১] হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, তার খুনের বোঝা আদম (আঃ)-এর ঐ প্রথম সন্তানের উপরেই পতিত হয়। কেননা সে-ই সর্বপ্রথম ভূ-পৃষ্ঠে অন্যায়ভাবে রক্ত বইয়েছিল।" (বুখারী ও মুসলিম) প্রকাশ থাকে যে, হাবীলকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার শাস্তি ক্বাবীলকে ততক্ষণাৎ দুনিয়াতেই দেওয়া হয়েছে। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, "যতগুলো পাপ এরই উপযুক্ত যে, আল্লাহ সত্বর তার শাস্তি দুনিয়াতেই প্রদান করবেন এবং পরকালেও তার জন্য ভীষণ শাস্তি জমা রাখবেন, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে, যুলুম ও সীমালঙ্ঘন করা এবং আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক ছেদন করা।" আর ক্বাবীলের মধ্যে এ দু'টো পাপই জমা হয়েছিল। ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রা-জিঊন। (ইবনে কাসীর)