তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন, সে মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য। সে বলল, ধিক আমাকে! আমি এই কাকটির মতও হতে পারলাম না যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি? তাই সে অনুতপ্ত হল।
এ কারণেই আমি বানী ইসরাঈলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম যে, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমীনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেন তামাম মানুষকেই হত্যা করল। আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকে বাঁচালো। তাদের কাছে আমার রসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়িই করেছিল।
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর যমীনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে বেড়ায় তাদের শাস্তি হল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি।
(তবে এ শাস্তি) তাদের জন্য নয় যারা তোমাদের আয়ত্বে আসার পূর্বে তাওবা করবে। জেনে রেখ, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে জিহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
যারা কুফরী করেছে দুনিয়ায় যা কিছু আছে সব যদি তাদের হয় এবং আরো সমপরিমাণও হয় ক্বিয়ামাত দিবসের শাস্তি থেকে পরিত্রাণের মুক্তিপণ হিসেবে, তবুও তা তাদের থেকে গ্রহণ করা হবে না; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
তারা আগুন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, কিন্তু তারা তাত্থেকে বের হতে পারবে না, তাদের জন্য আছে স্থায়ী শাস্তি।
আর চোর ও চোরনী তাদের হাত কেটে দাও, তাদের কৃতকর্মের ফল স্বরূপ, আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
কিন্তু অন্যায় করার পর কেউ তাওবা করলে এবং (নিজেকে) সংশোধন করলে, আল্লাহ তার প্রতি ক্ষমাদৃষ্টি করেন, আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তুমি কি জান না আল্লাহ, আকাশসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তাঁরই, যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দেন, যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।