قُلْ اَرَءَيْتُمْ اِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ وَكَفَرْتُمْ بِهٖ وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْۢ بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ عَلٰى مِثْلِهٖ فَاٰمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَ ࣖ ( الأحقاف: ١٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল- তোমরা কি ভেবে দেখেছ যদি এ (কুরআন) আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তা তোমরা প্রত্যাখ্যান কর অথচ এ ধরনের কালাম সম্পর্কে বানী ইসরাঈলের একজন [‘আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাযি.)] সাক্ষ্যও দিয়েছে। সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে? আল্লাহ যালিম লোকদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
English Sahih:
Say, "Have you considered: if it [i.e., the Quran] was from Allah, and you disbelieved in it while a witness from the Children of Israel has testified to something similar and believed while you were arrogant...?" Indeed, Allah does not guide the wrongdoing people.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি যে, যদি এ (কুরআন) আল্লাহর নিকট হতে (অবতীর্ণ) হয়ে থাকে, আর তোমরা এতে অবিশ্বাস কর, অথচ বানী ইস্রাঈলের একজন এর অনুরূপ সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়ে এতে বিশ্বাস স্থাপন করল, আর তোমরা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করলে,[১] (তাহলে তোমাদের পরিণাম কী হবে?) নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারীদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’
[১] বানী-ইস্রাঈলের এই সাক্ষী থেকে কাকে বুঝানো হয়েছে? কেউ বলেন যে, এই শব্দটি জাতি বা সম্প্রদায় অর্থে প্রয়োগ হয়েছে। বানী-ইস্রাঈলের সকল ঈমান আনয়নকারী এর অন্তর্ভুক্ত। কারো মতে সূরাটি মক্কী হওয়ার ফলে মক্কায় অবস্থানকারী কোন এক বানী-ইস্রাঈলী উদ্দিষ্ট হবে। আবার কারো কারো নিকট এ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনে সালামকে বুঝানো হয়েছে এবং তাঁরা এই আয়াতকে মাদানী বলে গণ্য করেন। বুখারী-মুসলিমের বর্ণনা থেকেও এ উক্তির সমর্থন মেলে। (দেখুনঃ সহীহ বুখারী, মানাক্বিবুল আনসার, মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবা) এই কারণে ইমাম শাওকানী এই মতটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। عَلَى مِثْلِهِ (এর অনুরূপ সম্পর্কে সাক্ষ্য) এর অর্থ হল, তাওরাতের সাক্ষ্য দেওয়া যা আল্লাহর পক্ষ হতে কুরআনের অবতীর্ণ হওয়ার কথা একান্ত ভাবে প্রমাণ করে। কেননা, কুরআনও তাওহীদ (একত্ব) ও পরকাল সাব্যস্ত করার ব্যাপারে তাওরাতের মতনই। অর্থাৎ, কিতাবধারীদের সাক্ষ্য দেওয়া ও তাদের ঈমান আনার পর এই কুরআন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ তাতে সন্দেহ অবশিষ্ট থাকে না। সুতরাং এরপর আর তোমাদের অস্বীকার ও অহংকার করার কোন বৈধতা থাকে না। তোমাদেরকে তোমাদের এই আচরণের পরিণাম সম্পর্কে ভেবে দেখা উচিত।