Skip to main content

وَخَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍۢ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ  ( الجاثية: ٢٢ )

And Allah created
وَخَلَقَ
এবং সৃষ্টি করেছেন
And Allah created
ٱللَّهُ
আল্লাহ
the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ
and the earth
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবী
in truth
بِٱلْحَقِّ
যথাযথভাবে
and that may be recompensed
وَلِتُجْزَىٰ
এবং যেন প্রতিদান দেওয়া যায়
every
كُلُّ
প্রত্যেক
soul
نَفْسٍۭ
ব্যক্তিকে
for what
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
it has earned
كَسَبَتْ
সে অর্জন করেছে
and they
وَهُمْ
এবং তাদের (উপর)
will not be wronged
لَا
না
will not be wronged
يُظْلَمُونَ
যুলুম করা হবে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এক সত্যিকার লক্ষ্যে যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া যেতে পারে, আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।

English Sahih:

And Allah created the heavens and earth in truth and so that every soul may be recompensed for what it has earned, and they will not be wronged.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ যথাযথভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মানুযায়ী ফল দেওয়া যেতে পারে। আর তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। [১]

[১] আর এটাই সুবিচার যে, কিয়ামতের দিন কোন পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই ফায়সালা হবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আমল অনুযায়ী ভাল অথবা মন্দ প্রতিদান দেওয়া হবে। এ রকম হবে না যে, তিনি সৎ ও অসৎ উভয়ের সাথে একই ধরনের আচরণ করবেন; যেমন কাফেরদের ভ্রান্ত ধারণা। তাদের এই ধারণার খন্ডন পূর্বের আয়াতেও করা হয়েছে। কেননা, উভয়কে সমান সমান অবস্থায় রাখা যুলুম; অর্থাৎ, সুবিচারের বিপরীত এবং স্বতঃসিদ্ধ ও সর্বস্বীকৃত বিষয় তথা বাস্তব-বিরোধীও বটে। তাই যেমন নিমগাছ লাগিয়ে আঙ্গুর ফল অর্জন করা যায় না, অনুরূপ অন্যায় কাজ সম্পাদন করে সেই মর্যাদা লাভ করা যাবে না, যা আল্লাহ ঈমানদারদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন।