[১] যেমন হাদীসেও আছে, রসূল (সাঃ) বলেছেন, "এ কথা জেনে নাও যে, তোমাদের মধ্যে কাউকেও তার আমল জান্নাতে নিয়ে যাবে না।" সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকেও? বললেন, "হ্যাঁ, আমাকেও। তবে আল্লাহ আমাকে তাঁর অনুগ্রহ ও দয়ায় আচ্ছাদিত করে নিবেন।" (বুখারীঃ কিতাবুর রিক্বাক, মুসলিম)
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
আপনার রবের অনুগ্রহস্বরূপ [১]। এটাই তো মহাসাফল্য।
[১] এ আয়াতে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া এবং জান্নাত লাভ করাকে আল্লাহ তাঁর দয়ার ফলশ্রুতি বলে আখ্যায়িত করছেন। এর দ্বারা মানুষকে এই সত্য সম্পর্কে অবহিত করা উদ্দেশ্য যে, আল্লাহর অনুগ্রহ না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তির ভাগ্যেই এই সফলতা আসতে পারে না। আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া ব্যক্তি তার সৎকর্ম করার তাওফীক বা সামৰ্থ কিভাবে লাভ করবে? তাছাড়া ব্যক্তি দ্বারা যত উত্তম কাজই সম্পন্ন হোক না কেন তা পূর্ণাঙ্গ ও পূর্ণতর হতে পারে না। সুতরাং সে কাজ সম্পর্কে দাবী করে একথা বলা যাবে না যে, তাতে কোন ত্রুটি বা অপূর্ণতা নেই। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ যে তিনি বান্দার দুর্বলতা এবং তার কাজকর্মের অপূর্ণতাসমূহ উপেক্ষা করে তার খেদমত কবুল করেন এবং তাকে পুরস্কৃত করে ধন্য করেন। অন্যথায়, তিনি যদি সূক্ষ্মভাবে হিসেব নিতে শুরু করেন তাহলে কার এমন দুঃসাহস আছে যে নিজের বাহুবলে জান্নাত লাভ করার দাবী করতে পারে? হাদীসে একথাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ “আমল করো এবং নিজের সাধ্যমত সব সর্বাধিক সঠিক কাজ করার চেষ্টা করো। জেনে রাখো, কোন ব্যক্তিকে শুধু তার আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না।” লোকেরা বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল, আপনার আমলও কি পারবে না? তিনি বললেনঃ “হ্যাঁ, আমিও শুধু আমার আমলের জোরে জান্নাতে যেতে পারবো না। তবে আমার রব যদি তার রহমত দ্বারা আমাকে আচ্ছাদিত করেন।” [বুখারী; ৬৪৬৭]
3 Tafsir Bayaan Foundation
তোমার রবের অনুগ্রহস্বরূপ, এটাই তো মহা সাফল্য।
4 Muhiuddin Khan
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।
5 Zohurul Hoque
তোমার প্রভুর কাছ থেকে এ এক করুণা। এটি খোদ এক বিরাট সাফল্য।