Skip to main content

لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدْعُوْنَنِيْٓ اِلَيْهِ لَيْسَ لَهٗ دَعْوَةٌ فِى الدُّنْيَا وَلَا فِى الْاٰخِرَةِ وَاَنَّ مَرَدَّنَآ اِلَى اللّٰهِ وَاَنَّ الْمُسْرِفِيْنَ هُمْ اَصْحٰبُ النَّارِ  ( غافر: ٤٣ )

No
لَا
নেই
doubt
جَرَمَ
কোনো সন্দেহ
that what
أَنَّمَا
মূলতঃ
you call me
تَدْعُونَنِىٓ
আমাকে তোমরা ডাকছো
to it
إِلَيْهِ
যার দিকে
not
لَيْسَ
নেই
for it
لَهُۥ
তার জন্যে
a claim
دَعْوَةٌ
কোনো আহবান
in
فِى
মধ্যে
the world
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
and not
وَلَا
আর না
in
فِى
মধ্যে
the Hereafter;
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকালের
and that
وَأَنَّ
এবং (এও) যে
our return
مَرَدَّنَآ
আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে
(is) to
إِلَى
দিকে
Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
and that
وَأَنَّ
এবং (এও সত্য) যে
the transgressors -
ٱلْمُسْرِفِينَ
সীমালংঘনকারী
they
هُمْ
তারাই
(will be the) companions
أَصْحَٰبُ
অধিবাসী
(of) the Fire
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কোন সন্দেহ নেই তোমরা আমাকে ডাকছ শুধু তার দিকে যে আহবান পাওয়ার যোগ্য নয়- না দুনিয়াতে, না আখিরাতে। আমাদের প্রত্যাবর্তন তো হল আল্লাহর দিকে আর সীমালঙ্ঘনকারীরা হল জাহান্নামের বাসিন্দা।

English Sahih:

Assuredly, that to which you invite me has no [response to a] supplication in this world or in the Hereafter; and indeed, our return is to Allah, and indeed, the transgressors will be companions of the Fire.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয়ই[১] তোমরা আমাকে এমন একজনের প্রতি আহবান করছ, যে ইহলোকে[২] ও পরলোকে কোথাও আহবান-যোগ্য নয়।[৩] বস্তুতঃ আমাদের প্রত্যাবর্তন তো আল্লাহর দিকে[৪] এবং অবশ্যই সীমালংঘনকারীরাই জাহান্নামের অধিবাসী।[৫]

[১] لاَ جَرَمَ এর অর্থঃ এ কথা নিশ্চিত যে অথবা এ কথা মিথ্যা নয় যে।

[২] অর্থাৎ, ইহকালে কারো আহবান শোনারই তো ক্ষমতা রাখে না যে, তোমাদের উপকার করতে পারে অথবা উপাস্য হওয়ার যোগ্য হতে পারে। এর অর্থ প্রায়ই ঐ অর্থই যা এই আয়াতে এবং এই ধরনের অন্যান্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,

﴿وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُونَ﴾
অর্থাৎ, সে ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের ডাক সম্বন্ধে অবহিতও নয়। (সূরা আহক্বাফ ৪৬;৫ আয়াত) ﴿إِنْ تَدْعُوهُمْ لا يَسْمَعُوا دُعَاءَكُمْ وَلَوْ سَمِعُوا مَا اسْتَجَابُوا لَكُمْ ﴾ অর্থাৎ, যদি তোমরা তাদেরকে ডাক, তবে তারা তোমাদের ডাক শোনে না। আর শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না।
(সূরা ফাত্বির ৩৫;১৪ আয়াত)

[৩] অর্থাৎ, এটাও সম্ভব নয় যে, আখেরাতে তারা কারো ডাক শুনে তাকে আযাব থেকে মুক্তি দিতে পারবে অথবা সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখবে। যাদের অবস্থা এই, তারা কি উপাস্য হওয়ার যোগ্য যে, তাদের ইবাদত করা যাবে? (এই জন্য উলামাগণ বলেন, সাহায্যের জন্য গায়রুল্লাহকে আহবান করা তিনটি শর্তে বৈধ; (ক) তাকে জীবিত থাকতে হবে, (খ) উপস্থিত থাকতে হবে এবং (গ) সাড়া দেওয়া বা সাহায্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। নচেৎ তাকে আহবান করা বৃথা ও শিরক। -সম্পাদক)

[৪] যেখানে সকলের হিসাব হবে এবং ভাল ও মন্দ আমল অনুযায়ী প্রতিদান ও শাস্তি দেওয়া হবে।

[৫] অর্থাৎ, কাফের ও মুশরিকরা। যারা আল্লাহর অবাধ্যতায় সীমাতিক্রম করে। অনুরূপ যে মুসলিম খুব বেশী পাপকারী হবে, যার অবাধ্যতা 'সীমালঙ্ঘন'এর পর্যায়ে পৌঁছে যাবে (এবং তা শিরক বা কুফরী না হয়ে কাবীরা গোনাহ হবে, আল্লাহ মাফ না করলে) তাকেও কিছুকাল জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অতঃপর রসূল (সাঃ)-এর সুপারিশ অথবা আল্লাহর ইচ্ছায় তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।