مَآ اَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللّٰهِ ۖ وَمَآ اَصَابَكَ مِنْ سَيِّئَةٍ فَمِنْ نَّفْسِكَ ۗ وَاَرْسَلْنٰكَ لِلنَّاسِ رَسُوْلًا ۗ وَكَفٰى بِاللّٰهِ شَهِيْدًا ( النساء: ٧٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমার কোন কল্যাণ হলে তা হয় আল্লাহর তরফ হতে এবং তোমার যে কোন অকল্যাণ হলে তা হয় তোমার নিজের কারণে এবং আমি তোমাকে মানুষের জন্য রসূলরূপে প্রেরণ করেছি, (এ কথার) সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
English Sahih:
What comes to you of good is from Allah, but what comes to you of evil, [O man], is from yourself. And We have sent you, [O Muhammad], to the people as a messenger, and sufficient is Allah as Witness.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তোমার যা কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর নিকট থেকে[১] এবং যা অকল্যাণ হয়, তা নিজের কারণে।[২] আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য রসূলরূপে প্রেরণ করেছি। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।
[১] অর্থাৎ, তাঁর দয়া ও অনুগ্রহ স্বরূপ। কোন নেকী অথবা আনুগত্যের প্রতিদান স্বরূপ নয়। কেননা, নেকী করার তওফীকদাতাও মহান আল্লাহ। তাছাড়া তাঁর নিয়ামত ও অনুদান এত বেশী যে, কোন মানুষের ইবাদত-আনুগত্য তার তুলনায় কিছুই নয়। এই জন্য একটি হাদীসে রসূল (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতে যে-ই যাবে, সে আল্লাহর রহমতে যাবে (অর্থাৎ, নিজের আমলের বিনিময়ে নয়)।" জিজ্ঞাসা করা হল, 'হে আল্লাহর রসূল! আপনিও কি আল্লাহর রহমত ব্যতীত জান্নাতে যেতে পারবেন না?' তিনি (সাঃ) বললেন, "হ্যাঁ, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তাঁর রহমতের আঁচল আমাকে আবৃত করে নেবে।" (বুখারী ৫৬৭৩নং)
[২] এই অকল্যাণ ও অনিষ্ট যদিও আল্লাহর পক্ষ হতেই আসে যেমন كُلٌّ مِنْ عِنْدِ اللهِ বাক্যের দ্বারা তা পরিষ্কার, কিন্তু যেহেতু এই অকল্যাণ কোন পাপের শাস্তি অথবা তার বদলা হয়, তাই বলা হল, এটা তোমাদের পক্ষ হতে। অর্থাৎ, এটা তোমাদের ভুল, অবহেলা এবং পাপের ফল। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, [وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ] "তোমাদের যেসব বিপদ-আপদ আপতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গুনাহ ক্ষমা করে দেন।" (শূরাঃ ৩০)