وَلَوْ اَنَّ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَا فِى الْاَرْضِ جَمِيْعًا وَّمِثْلَهٗ مَعَهٗ لَافْتَدَوْا بِهٖ مِنْ سُوْۤءِ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيٰمَةِۗ وَبَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ يَكُوْنُوْا يَحْتَسِبُوْنَ ( الزمر: ٤٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যারা অন্যায়কারী দুনিয়াতে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু যদি তাদেরই হয়, আর তার সাথে আরো অত পরিমাণ হয়, তারা ক্বিয়ামতের কঠিন ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণ স্বরূপ দিতে চাইবে। সেখানে আল্লাহর নিকট থেকে তারা এমন কিছুর সম্মুখীন হবে যা তারা কক্ষনো অনুমানও করেনি।
English Sahih:
And if those who did wrong had all that is in the earth entirely and the like of it with it, they would [attempt to] ransom themselves thereby from the worst of the punishment on the Day of Resurrection. And there will appear to them from Allah that which they had not taken into account.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যারা সীমালংঘন করেছে; যদি তাদের পৃথিবীর সমস্ত কিছু এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরও কিছু থাকত, তাহলে কিয়ামতের দিন নিকৃষ্ট শাস্তি হতে মুক্তির জন্য পণ স্বরূপ তা প্রদান করত।[১] তাদের সামনে আল্লাহর নিকট হতে এমন কিছু প্রকাশ হবে, যা ওরা কল্পনাও করেনি।[২]
[১] তবুও তা গৃহীত হতো না। যেমন, অন্যত্র আরো পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, ﴿فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِمْ مِلءُ الْأَرْضِ ذَهَبًا وَلَوِ افْتَدَى بِهِ﴾ (آل عمران; ৯১) "যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ সোনাও তার পরিবর্তে দেওয়া হয়, তবুও তা কবুল করা হবে না।" কারণ, ﴿وَلاَ يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ﴾ (البقرة; ৪৮) "সেখানে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না।"
[২] অর্থাৎ, আযাবের কঠিনতা, ভয়াবহতা এবং তা এত প্রকারের হবে যে, তা হয়তো কোনদিন তাদের ধারণা ও কল্পনাতেও আসেনি। (অথবা যে সকল কাজ তারা ভালো মনে করে করেছিল তা তাদের সামনে আল্লাহর নিকট খারাপ রূপে প্রকাশ পাবে; যা ওরা কল্পনাও করেনি যে, তা আসলে খারাপ কাজ।)