আমি তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের (শিক্ষা গ্রহণের) জন্য সত্য (দ্বীন) সহকারে। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, নিজের কল্যাণের জন্যই চলবে। আর যে বিভ্রান্ত হবে, বিভ্রান্ত হবে কেবল নিজের ক্ষতি করার জন্য; তুমি তাদের (কাজের) জন্য যিম্মাদার নও।
আল্লাহ প্রাণ গ্রহণ করেন সেগুলোর মৃত্যুর সময়, আর যারা মরেনি তাদের নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যুর সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তার (প্রাণ) রেখে দেন, আর অন্যগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন। যারা চিন্তা গবেষণা করে তাদের জন্য এতে বহু নিদর্শন আছে।
তারা কি আল্লাহকে ছাড়া (অন্যদেরকে নিজেদের মুক্তির জন্য) সুপারিশকারী বানিয়ে নিয়েছে? বল- তারা কোন কিছুর মালিক না হওয়া সত্ত্বেও, আর তারা না বুঝলেও?
বল- শাফা‘আত সম্পূর্ণ আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই, অতঃপর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
এক আল্লাহর উল্লেখ করা হলেই যারা ক্বিয়ামতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্যের উল্লেখ করা হলেই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়।
বল- হে আল্লাহ! আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমি তোমার বান্দাহদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে.
যারা অন্যায়কারী দুনিয়াতে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু যদি তাদেরই হয়, আর তার সাথে আরো অত পরিমাণ হয়, তারা ক্বিয়ামতের কঠিন ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণ স্বরূপ দিতে চাইবে। সেখানে আল্লাহর নিকট থেকে তারা এমন কিছুর সম্মুখীন হবে যা তারা কক্ষনো অনুমানও করেনি।
তাদের কৃতকর্মের মন্দ রূপ সেদিন প্রকাশ হয়ে পড়বে, আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তাই তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
মানুষকে বিপদাপদ স্পর্শ করলে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নি‘মাত দিয়ে ধন্য করি তখন সে বলে- আমার জ্ঞান গরিমার বদৌলতেই আমাকে তা দেয়া হয়েছে। না, তা নয়। এটা একটা পরীক্ষা (অনুগ্রহ লাভ করে কে আল্লাহর কৃতজ্ঞ হয় আর কে নিজের বড়াই প্রকাশ করে তা দেখার জন্য)। কিন্তু (এর গুঢ়তত্ত্ব) তাদের অধিকাংশই বুঝে না।
তাদের আগে যারা ছিল তারাও এ কথাই বলত। কিন্তু তারা যা করত তা তাদের কোনই কাজে আসেনি।