তাদের জন্য (আমার কুদরাতের) আরো একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের বংশধরদেরকে (মহা প্লাবণের সময়) ভরা নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
আর তাদের জন্য ঐ ধরনের আরো যানবাহন তৈরি করেছি যাতে তারা আরোহণ করে থাকে।
আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকে ডুবিয়ে দিতে পারি, তখন (তাদের ফরিয়াদ শুনার জন্য) কোন সাহায্যকারী থাকবে না, আর তারা পরিত্রাণও পাবে না
আমার রহমত না হলে, আর কিছু কালের জন্য তাদেরকে জীবন উপভোগ করতে না দিলে।
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘‘তোমাদের সামনে যে পরিণাম আসছে তাত্থেকে আর তোমাদের পেছনের (অতীত জাতিগুলোর উপর ঘটে গেছে সে রকম) ‘আযাব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা কর যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় (তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়)।’’
তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন থেকে যখনই কোন নিদর্শন আসে তখনই তারা তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তাত্থেকে তোমরা (আল্লাহর পথে) ব্যয় কর; তখন কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘‘আমরা কি এমন লোককে খাওয়াবো আল্লাহ ইচ্ছে করলে যাকে খাওয়াতে পারতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতে পড়ে আছ।
আর তারা বলে, ‘‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে বল, (ক্বিয়ামতের) এ ও‘য়াদা কখন পূর্ণ হবে?’’
তারা যে জন্য অপেক্ষা করছে সেটাতো একটা প্রচন্ড শব্দ যা তাদেরকে পাকড়াও করবে যখন তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত থাকবে।
(ক্বিয়ামত এমনই হঠাৎ আক্রমণ করবে যে) তারা না পারবে ওসীয়াত করতে আর না পারবে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে যেতে।