قُلْ اِنْ ضَلَلْتُ فَاِنَّمَآ اَضِلُّ عَلٰى نَفْسِيْۚ وَاِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوْحِيْٓ اِلَيَّ رَبِّيْۗ اِنَّهٗ سَمِيْعٌ قَرِيْبٌ ( سبإ: ٥٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল- আমি যদি গুমরাহ হই, তবে নিজের ক্ষতি করতেই গুমরাহ হব। আর আমি যদি সৎ পথে চলি, তবে আমার প্রতিপালক যে আমার প্রতি ওয়াহী করেন তার বদৌলতেই। তিনি সর্বশ্রোতা, (সদা) সন্নিকটবর্তী। (আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেন।)
English Sahih:
Say, "If I should err, I would only err against myself. But if I am guided, it is by what my Lord reveals to me. Indeed, He is Hearing and near."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘আমি বিভ্রান্ত হলে বিভ্রান্তির পরিণাম আমাকেই ভোগ করতে হবে। আর যদি আমি সৎপথে থাকি তবে তা এ জন্য যে, আমার প্রতি আমার প্রতিপালক অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করেন।[১] তিনি সর্বশ্রোতা, সন্নিকটবর্তী।’ [২]
[১] অর্থাৎ সর্বপ্রকার মঙ্গল আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ তাআলা যে অহী ও স্পষ্ট সত্য অবতীর্ণ করেছেন, তাতে সঠিক পথ ও হিদায়াত নিহিত আছে। মানুষ তাতেই সঠিক পথের দিশা পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তাতে মানুষের নিজের ত্রুটি এবং প্রবৃত্তির খেয়াল-খুশী থাকে। এই জন্য তার কুফলও তাকেই ভোগ করতে হবে। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) যখন কোন জিজ্ঞাসকের উত্তরে নিজের পক্ষ থেকে কিছু বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, এ ব্যাপারে আমি আমার নিজস্ব রায় বললাম। সুতরাং তা যদি সঠিক হয়, তাহলে তা আল্লাহর তরফ হতে, আর যদি তা বেঠিক হয়, তাহলে তা আমার ও শয়তানের তরফ হতে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার সাথে সম্পর্কহীন। (ইবনে কাসীর)
[২] যেমন হাদীসে এসেছে যে, একদা সাহাবীগণ জোরে-শোরে তকবীর পড়তে শুরু করলেন। তখন নবী (সাঃ) বললেন, হে লোক সকল! নিজেদের উপর কৃপা কর। নিশ্চয় তোমরা কোন বধির অথবা কোন (দূরবর্তী) অনুপস্থিতকে আহবান করছ না; বরং তোমরা সর্বশ্রোতা নিকটবর্তীকে আহবান করছ। তিনি (তাঁর ইলমসহ) তোমাদের সঙ্গে আছেন।" (বুখারী ৫/৭৫, মুসলিম ৪/২০৭৬)