فَالْيَوْمَ لَا يَمْلِكُ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَّفْعًا وَّلَا ضَرًّا ۗوَنَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا ذُوْقُوْا عَذَابَ النَّارِ الَّتِيْ كُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ ( سبإ: ٤٢ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আজ তোমাদের একে অন্যের কোন লাভ বা ক্ষতি করতে পারবে না। যারা যুলম করেছিল তাদেরকে আমি বলব- তোমরা জাহান্নামের শাস্তি আস্বাদন কর যা তোমরা মিথ্যে বলে অস্বীকার করতে।
English Sahih:
But today [i.e., the Day of Judgement] you do not hold for one another [the power of] benefit or harm, and We will say to those who wronged, "Taste the punishment of the Fire, which you used to deny."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(তখন আমি বলব,) আজ তোমাদের একে অন্যের কোন উপকার কিংবা অপকার করবার ক্ষমতা নেই।[১] আর যারা সীমালংঘন করেছিল[২] তাদেরকে বলব, ‘তোমরা যে অগ্নির শাস্তিকে মিথ্যা মনে করতে আজ তা আস্বাদন কর।’
[১] অর্থাৎ, পৃথিবীতে তোমরা এই ভেবে এদের ইবাদত করতে যে, এরা তোমাদের উপকার করতে পারবে, তোমাদের জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করবে। (যেমন বর্তমানেও পীর পূজারী ও কবর পূজারীদের অবস্থা।) কিন্তু এখন দেখে নাও যে, এরা কোন উপকারের ক্ষমতা রাখে না।
[২] 'যারা সীমালংঘন করেছিল' (যালেম) বলতে গায়রুল্লাহর উপাসকদের বুঝানো হয়েছে। যেহেতু শিরক হল সবচেয়ে বড় সীমালংঘন ও সবচেয়ে বড় যুলম। আর মুশরিকরা হল সবচেয়ে বড় যালেম ও সীমালংঘনকারী।