قَالُوْا سُبْحٰنَكَ اَنْتَ وَلِيُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْ ۚبَلْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ الْجِنَّ اَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ ( سبإ: ٤١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
ফেরেশতারা বলবে- পবিত্র মহান তুমি, তুমিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জ্বিনদের পূজা করত; ওদের অধিকাংশই ওদের প্রতি বিশ্বাসী ছিল।
English Sahih:
They will say, "Exalted are You! You, [O Allah], are our benefactor excluding [i.e., not] them. Rather, they used to worship the jinn; most of them were believers in them."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ফিরিশতারা বলবে, ‘তুমি পবিত্র মহান! আমাদের সম্পর্ক তোমারই সাথে; ওদের সাথে নয়।[১] বরং ওরা তো পূজা করত জ্বিনদের[২] এবং ওদের অধিকাংশই ছিল তাদেরই প্রতি বিশ্বাসী।’
[১] অর্থাৎ, ফিরিশতাগণও ঈসা (আঃ)-এর মত আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে এ ব্যাপারে সম্পর্কহীনতার কথা প্রকাশ করবেন এবং বলবেন যে, আমরা তো তোমার বান্দা এবং তুমি আমাদের অভিভাবক, ওদের সাথে আমাদের কি সম্পর্ক?
[২] জ্বিন বলতে শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এরা আসলে শয়তানের পূজারী কারণ সেই তাদেরকে মূর্তিপূজা করাতো এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করত। যেমন অন্য জায়গাতে বলেছেন, (إِنْ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ إِلَّا إِنَاثًا وَإِنْ يَدْعُونَ إِلَّا شَيْطَانًا مَرِيدًا) অর্থাৎ, তাঁর (আল্লাহর) পরিবর্তে তারা কেবল দেবীদের পূজা করে এবং তারা কেবল বিদ্রোহী শয়তানের পূজা করে। (সূরা নিসা ৪;১১৭ আয়াত)