Skip to main content

فَقَالُوْا رَبَّنَا بٰعِدْ بَيْنَ اَسْفَارِنَا وَظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنٰهُمْ اَحَادِيْثَ وَمَزَّقْنٰهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ   ( سبإ: ١٩ )

But they said
فَقَالُوا۟
কিন্তু তারা বলেছিলো
"Our Lord
رَبَّنَا
"হে আমাদের রব
lengthen (the distance)
بَٰعِدْ
দূরত্ব বাড়াও
between
بَيْنَ
মাঝে
our journeys"
أَسْفَارِنَا
সফরসমূহের আমাদের"
And they wronged
وَظَلَمُوٓا۟
এবং তারা সীমালঙ্ঘন করেছিলো
themselves
أَنفُسَهُمْ
নিজেদের তাদের (উপর)
so We made them
فَجَعَلْنَٰهُمْ
অতঃপর আমরা পরিণত করলাম তাদেরকে
narrations
أَحَادِيثَ
কাহিনীর বিষয়বস্তু
and We dispersed them
وَمَزَّقْنَٰهُمْ
এবং আমরা ছিন্ন-ভিন্ন করলাম তাদেরকে
(in) a total
كُلَّ
প্রত্যেককে
dispersion
مُمَزَّقٍۚ
খুব ছিন্ন-ভিন্ন
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
in
فِى
মধ্যে (রয়েছে)
that
ذَٰلِكَ
এর
surely (are) Signs
لَءَايَٰتٍ
অবশ্যই নিদর্শনাবলী
for everyone
لِّكُلِّ
জন্যে প্রত্যেক
patient
صَبَّارٍ
বড় ধৈর্যশীল
(and) grateful
شَكُورٍ
কৃতজ্ঞ ব্যক্তির

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিন্তু তারা বলল- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের সফর-মঞ্জিলগুলোর মাঝে ব্যবধান বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল। কাজেই আমি তাদেরকে কাহিনী বানিয়ে ছাড়লাম (যে কাহিনী শোনানো হয়) আর তাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলাম। এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।

English Sahih:

But [insolently] they said, "Our Lord, lengthen the distance between our journeys," and wronged themselves, so We made them narrations and dispersed them in total dispersion. Indeed in that are signs for everyone patient and grateful.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিন্তু ওরা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের সফরের বিশ্রামস্থান দূরে দূরে স্থাপন কর।’[১] এভাবে ওরা নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল। ফলে আমি ওদেরকে কাহিনীর বিষয়বস্তুতে পরিণত করলাম[২] এবং ওদেরকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিলাম।[৩] নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।

[১] অর্থাৎ, (ভ্রমণে অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি বা বিপদ না এলে তাতে কোন মজা নেই --এই কথা স্মরণ করে তারা নিজেরাই প্রার্থনা করল যে,) যেমন মানুষ সফরের কষ্ট, সমস্যা এবং বিভিন্ন মৌসুমের নানা অসুবিধা ইত্যাদির বর্ণনা করে, অনুরূপ আমাদের জন্য ভ্রমণের দূরত্ব সৃষ্টি করে দেন। যেন কাছাকাছি জনবসতি না হয়ে মাঝখানে জঙ্গল ও জনহীন প্রান্তর ও মরুভূমি বেয়ে আমাদেরকে পার হতে হয়, গ্রীষ্মের সময় রৌদ্রের কষ্ট এবং শীতের সময় বরফের ন্যায় ঠান্ডা হাওয়া আমাদেরকে অতিষ্ঠ করে তোলে এবং পথে ক্ষুৎ-পিপাসা ও মৌসুমের কঠিনতা থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে পাথেয়-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে সাথে রাখতে হয়। তাদের এই দু'আ বানী-ইস্রাঈলের অনুরূপ ছিল, যারা কোন কষ্ট ও শ্রম ছাড়াই মান্ন্ ও সালওয়া (ইলাহী খানা) এবং আরো অন্যান্য সুবিধা ভোগ করত। কিন্তু তারা সে সবের পরিবর্তে ডাল ও সবজি তরকারি ইত্যাদি পাওয়ার জন্য দু'আ করেছিল! তাদের এই দু'আ মৌখিক ছিল অথবা তাদের অবস্থা এ কথা বলেছিল।

[২] অর্থাৎ, তাদেরকে (সাবা'বাসীকে) এমনভাবে সর্বস্বান্ত করলাম যে, দুনিয়াতে তাদের বাগান ধ্বংসের কাহিনী প্রসিদ্ধ রয়ে গেল এবং মজলিস ও মহফিলের বক্তব্যের বিষয়রূপে পরিগণিত হল।

[৩] অর্থাৎ, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম ও বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে দিলাম। সুতরাং সাবাবাসীর প্রসিদ্ধ গোত্রগুলি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বসবাস করতে লাগল, কেউ মদীনা কেউ মক্কা কেউ শাম এলাকায় ইত্যাদি ইত্যাদি।