Skip to main content

وَلِسُلَيْمٰنَ الرِّيْحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَّرَوَاحُهَا شَهْرٌۚ وَاَسَلْنَا لَهٗ عَيْنَ الْقِطْرِۗ وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَّعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِاِذْنِ رَبِّهٖۗ وَمَنْ يَّزِغْ مِنْهُمْ عَنْ اَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِيْرِ   ( سبإ: ١٢ )

And to Sulaiman
وَلِسُلَيْمَٰنَ
এবং জন্যে সোলায়মানের (অধীন করে দেই)
the wind
ٱلرِّيحَ
বাতাসকে
its morning course
غُدُوُّهَا
সকালের বেড়ানো তার
(was) a month
شَهْرٌ
এক মাসের
and its afternoon course
وَرَوَاحُهَا
এবং সন্ধ্যার বেড়ানো তার
(was) a month
شَهْرٌۖ
এক মাসের (অর্থাৎ সে এক মাসের পথ এক সকাল বা এক সন্ধায় অতিক্রম করতো
and We caused to flow
وَأَسَلْنَا
এবং আমরা প্রবাহিত করেছি
for him
لَهُۥ
জন্যে তার
a spring
عَيْنَ
ঝর্ণা
(of) molten copper
ٱلْقِطْرِۖ
গলানো তামার
And [of]
وَمِنَ
এবং কিছু
the jinn
ٱلْجِنِّ
জিনদের
who
مَن
যারা
worked
يَعْمَلُ
কাজ করতো
before him
بَيْنَ
মাঝে
before him
يَدَيْهِ
হাতের (সামনে) তার
by the permission
بِإِذْنِ
ক্রমে অনুমতি
(of) his Lord
رَبِّهِۦۖ
তাঁর রবের
And whoever
وَمَن
আর যে
deviated
يَزِغْ
অমান্য করতো
among them
مِنْهُمْ
মধ্য থেকে তাদের
from
عَنْ
হ'তে
Our Command
أَمْرِنَا
নির্দেশের আমাদের
We will make him taste
نُذِقْهُ
আমরা আস্বাদন করাতাম তাকে
of
مِنْ
থেকে
(the) punishment
عَذَابِ
শাস্তি
(of) the Blaze
ٱلسَّعِيرِ
জ্বলন্ত আগুনের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর সুলাইমানের জন্য (আমি তার অধীন করে দিয়েছিলাম) বাতাসকে। তার সকালের অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ আর সন্ধ্যার অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ। আমি তার জন্য গলিত তামার ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জ্বিন তার সম্মুখে কাজ করত তার পালনকর্তার অনুমতিক্রমে। তাদের যে কেউ আমার নির্দেশ অমান্য করে, তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব।

English Sahih:

And to Solomon [We subjected] the wind – its morning [journey was that of] a month – and its afternoon [journey was that of] a month, and We made flow for him a spring of [liquid] copper. And among the jinn were those who worked for him by the permission of his Lord. And whoever deviated among them from Our command – We will make him taste of the punishment of the Blaze.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি বাতাসকে সুলাইমানের অধীন করেছিলাম, তার সকালের ভ্রমণ একমাসের পথ ছিল এবং সন্ধ্যার ভ্রমণও এক মাসের পথ ছিল।[১] আমি তার জন্য গলিত তামার এক ঝরনা প্রবাহিত করেছিলাম। [২] আল্লাহর অনুমতিক্রমে কিছু সংখ্যক জ্বিন তার সম্মুখে কাজ করত। ওদের মধ্যে যারা আমার নির্দেশ অমান্য করে তাদেরকে আমি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি আস্বাদন করাব। [৩]

[১] অর্থাৎ সুলাইমান (আঃ) সভাসদ ও সৈন্যসহ তক্তায় বসে যেতেন। বাতাস তাঁর আজ্ঞাধীন হয়ে তিনি যেখানে আদেশ করতেন সেখানে তাঁকে এমন গতিতে নিয়ে যেত যে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক মাসের পথ অতিক্রম হয়ে যেত এবং অনুরূপ দুপুর থেকে রাত্রি পর্যন্ত এক মাসের পথ অতিক্রম হয়ে যেত। এইভাবে এক দিনে দুই মাসের পথ অতিক্রম হয়ে যেত।

[২] অর্থাৎ যেমন দাঊদ (আঃ)-এর জন্য লোহা নরম করে দেওয়া হয়েছিল, অনুরূপ সুলাইমান (আঃ)-এর জন্য আমি তামার ঝরনা প্রবাহিত করে দিয়েছিলাম যাতে তামা পদার্থ দ্বারা সে অনায়াসে ইচ্ছামত পাত্র ইত্যাদি বানাতে পারে।

[৩] অধিকাংশ তফসীরবিদের মতে এ শাস্তি কিয়ামতের দিন দেওয়া হবে। কিন্তু কেউ কেউ বলেন, এ শাস্তি হল দুনিয়ার শাস্তি। তাঁরা বলেন, দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদের উপর একজন ফিরিশতা নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর হাতে আগুনের চাবুক থাকত। যে জ্বিন সুলাইমান (আঃ)-এর আদেশ অমান্য করত, তাকে ফিরিশতা চাবুক মারতেন; যাতে সে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। (ফাতহুল ক্বাদীর)