يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ اٰذَوْا مُوْسٰى فَبَرَّاَهُ اللّٰهُ مِمَّا قَالُوْا ۗوَكَانَ عِنْدَ اللّٰهِ وَجِيْهًا ۗ ( الأحزاب: ٦٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
হে মু’মিনগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছিল। অতঃপর তারা যা বলেছিল আল্লাহ তাত্থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন। সে ছিল আল্লাহর নিকট সম্মানিত।
English Sahih:
O you who have believed, be not like those who abused Moses; then Allah cleared him of what they said. And he, in the sight of Allah, was distinguished.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
হে বিশ্বাসীগণ! মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না; ওরা যা রটনা করেছিল আল্লাহ তা থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেছেন।[১] আর আল্লাহর নিকট সে মর্যাদাবান।
[১] এর ব্যাখ্যা হাদীসে এইভাবে এসেছে যে, মূসা (আঃ) অত্যন্ত লজ্জাশীল নবী ছিলেন, সুতরাং তিনি নিজের শরীর কখনো মানুষের সামনে খুলতেন না; বরং ঢেকে রাখতেন। বানী ইস্রাঈলরা বলতে আরম্ভ করল যে, সম্ভবতঃ মূসা (আঃ) এর শরীরে ধবলের দাগ অথবা ঐ ধরনের কোন খুঁত আছে, যার ফলে তিনি সব সময় পোষাক পরে তা ঢেকে রাখেন। এক দিন মুসা (আঃ) নির্জনে কাপড় খুলে পাথরের উপর রেখে একাকী গোসল করতে লাগলেন, (আল্লাহর আদেশে) পাথর তাঁর সেই কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। আর মূসা (আঃ) তার পিছন পিছন দৌড়তে লাগলেন। পরিশেষে বানী ইসরাঈলের এক সমাবেশে পৌঁছে গেলেন। তারা মূসা (আঃ)-কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে তাদের সব সন্দেহ দূর হয়ে গেল। মূসা (আঃ) একজন সুন্দর এবং সকল প্রকার দাগ ও ত্রুটিমুক্ত ছিলেন। এইভাবে আল্লাহ তাআলা মু'জিযা স্বরূপ পাথর দ্বারা তাঁকে সেই অপবাদ ও সন্দেহ থেকে নির্মল প্রমাণ করলেন, যা বানী ইস্রাঈলদের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি আরোপ করা হচ্ছিল। (বুখারীঃ কিতাবুল আম্বিয়া) মূসা (আঃ)-এর ঘটনা উল্লেখ করে মু'মিনগণকে বোঝানো হয়েছে যে, তোমরা আমার শেষ পয়গম্বর মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বানী ইস্রাঈলদের মত কষ্ট দিও না এবং তাঁর সম্পর্কে এমন কোন কথা বলো না, যা শুনে তাঁর মনে দুশ্চিন্তা ও কষ্ট হয়। যেমন এক সময় গনীমতের (যুদ্ধলব্ধ) মাল বন্টন করার সময় এক ব্যক্তি বলল যে, এ বন্টন ইনসাফের সাথে করা হয়নি। নবী (সাঃ) এই কথা শুনে এমন রাগান্বিত হলেন যে, তাঁর চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল। তিনি বললেন, "মূসা (আঃ) এর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ হোক। তাঁকে এর থেকেও অধিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন। (বুখারী ঐ, মুসলিম কিতাবুয যাকাত)