হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর।
আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
তিনি তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ষণ করেন, আর তাঁর ফেরেশতারাও (তোমাদের জন্য) তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে আনার জন্যে। মু’মিনদের প্রতি তিনি পরম দয়ালু।
যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।
হে নবী (সা.)! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি (যুগে যুগে প্রেরিত নবী রসূলগণ যে তাঁদের উম্মাতের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন- এ কথার) সাক্ষীস্বরূপ এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে,
আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর পথে আহবানকারী ও আলোকপ্রদ প্রদীপরূপে।
তুমি মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আল্লাহর নিকট আছে বিশাল অনুগ্রহ।
তুমি কাফির ও মুনাফিকদের কথা মান্য করো না। তাদের যন্ত্রণাকে মনে স্থান দিও না, আর নির্ভর কর আল্লাহর উপর, কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কোন মু’মিন নারীকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তাদেরকে তালাক দাও, তখন তাদের জন্য তোমাদেরকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না যা তোমরা (অন্যক্ষেত্রের তালাকে) গণনা করে থাক। কাজেই কিছু সামগ্রী তাদেরকে দাও আর তাদেরকে বিদায় দাও উত্তম বিদায়ে।
হে নবী (সা.)! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীগণকে যাদের মোহরানা তুমি প্রদান করেছ; আর বৈধ করেছি আল্লাহ ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ) হিসেবে তোমাকে যা দান করেছেন তার মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে, আর তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, তোমার মামার কন্যা ও তোমার খালার কন্যাকে যারা তোমার সঙ্গে হিজরাত করেছে। আর কোন মু’মিন নারী যদি নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করে আর নবী যদি তাকে বিয়ে করতে চায় সেও বৈধ, এটা মু’মিনদের বাদ দিয়ে বিশেষভাবে তোমার জন্য যাতে তোমার কোন অসুবিধে না হয়। মু’মিনগণের জন্য তাদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার তা জানা আছে। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।