Skip to main content

خَلَقَ السَّمٰوٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَاَلْقٰى فِى الْاَرْضِ رَوَاسِيَ اَنْ تَمِيْدَ بِكُمْ وَبَثَّ فِيْهَا مِنْ كُلِّ دَاۤبَّةٍۗ وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءً فَاَنْۢبَتْنَا فِيْهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍ كَرِيْمٍ   ( لقمان: ١٠ )

He created
خَلَقَ
তিনি সৃষ্টি করেছেন
the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহ
without
بِغَيْرِ
ছাড়া
pillars
عَمَدٍ
কোন খুঁটি
that you see
تَرَوْنَهَاۖ
তোমরা দেখছো তা
and has cast
وَأَلْقَىٰ
এবং স্থাপন করেছেন
in
فِى
মধ্যে
the earth
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
firm mountains
رَوَٰسِىَ
পর্বতমালা
lest
أَن
( এমন না হয় ) যে
it (might) shake
تَمِيدَ
ঢলে যায়
with you
بِكُمْ
নিয়ে তোমাদেরকে
and He dispersed
وَبَثَّ
এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন
in it
فِيهَا
মধ্যে তার
from
مِن
প্রকার
every
كُلِّ
প্রত্যেক
creature
دَآبَّةٍۚ
জীবজন্তু
And We sent down
وَأَنزَلْنَا
এবং আমরা বর্ষণ করেছি
from
مِنَ
থেকে
the sky
ٱلسَّمَآءِ
আকাশ
water
مَآءً
পানি
then We caused to grow
فَأَنۢبَتْنَا
অতঃপর উৎপন্ন করি আমরা
therein
فِيهَا
মধ্যে তার
of
مِن
প্রকার
every
كُلِّ
প্রত্যেক
kind
زَوْجٍ
জোড়া জোড়া (উদ্ভিদ)
noble
كَرِيمٍ
উত্তম

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনি আকাশমন্ডলী নির্মাণ করেছেন স্তম্ভ ছাড়া যা তোমরা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান পর্বতমালা যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে নড়াচড়া না করে আর তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার জীবজন্তু, আর আমিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, অতঃপর তাতে উদ্গত করি যাবতীয় কল্যাণকর উদ্ভিদ।

English Sahih:

He created the heavens without pillars that you see and has cast into the earth firmly set mountains, lest it should shift with you, and dispersed therein from every creature. And We sent down rain from the sky and made grow therein [plants] of every noble kind.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনি আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভবিহীন নির্মাণ করেছেন; তোমরা তা দেখছ।[১] তিনিই পৃথিবীতে পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, যাতে তা তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়[২] এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জীবজন্তু।[৩] আর আমি আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করে, তাতে সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। [৪]

[১] تَرَونَهَا যদি عَمَد শব্দটির বিশেষণ হয়, তাহলে অর্থ হবেঃ তিনি আকাশমন্ডলীকে এমন স্তম্ভ ছাড়াই নির্মাণ করেছেন; যা তোমরা দেখতে পাও। অর্থাৎ, আসমানের স্তম্ভ আছে; কিন্তু তা এমন যা, তোমরা দেখতে পাও না।

[২] رَوَاسِي শব্দটি رَاسِيَة এর বহুবচন। যার অর্থঃ স্থিতিশীল। অর্থাৎ, পর্বতমালাকে পৃথিবীর উপর ভারী বোঝা করে রাখা হয়েছে যাতে পৃথিবী স্থির থাকে এবং নড়া-চড়া না করে। এই জন্য পরে বলা হয়েছে, أَن تَمِيدَ بِكُم অর্থাৎ, এই কথা অপছন্দ করে যে, পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত হবে অথবা এই জন্য যে, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে এদিক-ওদিক না দোলে। যেমন সমুদ্র তীরে সামুদ্রিক জাহাজগুলোকে বড় বড় নঙ্গর গেড়ে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে জাহাজ সরে না যায়। পৃথিবীর জন্য পর্বতমালাও অনুরূপ নঙ্গর স্বরূপ।

[৩] অর্থাৎ, বিভিন্ন প্রকার জীব-জন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার কিছু মানুষ ভক্ষণ করে থাকে, কিছু সওয়ারীরূপে ব্যবহার করে, কিছুকে জমি চাষাবাদের কাজে লাগায় এবং কিছুকে সৌন্দর্য স্বরূপ নিজের কাছে রাখে।

[৪] زَوج শব্দটি এখানে صِنف (প্রকার বা শ্রেণী)এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, সর্বপ্রকার শস্য, ফলমূল ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। তার বিশেষণ كَريم শব্দ ব্যবহার করে তার সুন্দর রং ও তার বিবিধ উপকারিতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ।