اَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوْا فِيْٓ اَنْفُسِهِمْ ۗ مَا خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ اِلَّا بِالْحَقِّ وَاَجَلٍ مُّسَمًّىۗ وَاِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ بِلِقَاۤئِ رَبِّهِمْ لَكٰفِرُوْنَ ( الروم: ٨ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা কি তাদের মনে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এ দু’এর মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট কালের জন্য, কিন্তু অনেক মানুষ তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতে নিশ্চিতই অবিশ্বাসী।
English Sahih:
Do they not contemplate within themselves? Allah has not created the heavens and the earth and what is between them except in truth and for a specified term. And indeed, many of the people, in the meeting with their Lord, are disbelievers.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ওরা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহই আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য সৃষ্টি করেছেন।[১] আর অবশ্যই বহু মানুষ তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতে অবিশ্বাসী। [২]
[১] অথবা তা এক উদ্দেশ্য ও হকের সাথে সৃষ্টি করা হয়েছে; বিনা উদ্দেশ্যে বেকার সৃষ্টি করা হয়নি। আর সে উদ্দেশ্য হল এই যে, পুণ্যবানদেরকে তাদের পুণ্যের প্রতিদান এবং পাপীদেরকে তাদের পাপের শাস্তি প্রদান। অর্থাৎ, তারা কি নিজেদের অস্তিত্ব ও দেহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না যে, তাদেরকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে অথচ তাদের কোন অস্তিত্বই ছিল না এবং ঘৃণ্য এক ফোঁটা পানি দ্বারা তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে? তারপর এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই ঐ লম্বা ও চওড়া বিশাল আকাশ ও পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া সকল কিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, 'কিয়ামত দিবস'। যেদিন এ সকল বস্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ, তারা যদি এই সকল বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করত, তাহলে অবশ্যই আল্লাহর অস্তিত্ব, তিনি যে অদ্বিতীয় প্রতিপালক ও একমাত্র উপাস্য এবং তাঁর যে অশেষ ক্ষমতা তা বুঝতে সক্ষম হত এবং তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করত।
[২] সৃষ্টি জগৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করাই হচ্ছে এর আসল কারণ। তাছাড়া কিয়ামতের দিনকে অস্বীকার করার পিছনে যুক্তিসঙ্গত কোন ভিত্তিই নেই।