মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কোন কোন কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ হতে) ফিরে আসে।
বল, পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ আগে যারা ছিল তাদের পরিণাম কী হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক।
কাজেই তুমি নিজেকে সত্য দ্বীনে প্রতিষ্ঠিত রাখ, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন দিন (ক্বিয়ামত দিবস) আসার পূর্বে যা কক্ষনো প্রত্যাহার করা হবে না। সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে যাবে (দু’ভাগে)।
যে কুফুরী করে সেই তার কুফুরীর শাস্তি ভোগ করবে, আর যারা সৎকর্ম করে তারা নিজেদেরই সুখ সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে।
যাতে তিনি স্বীয় অনুগ্রহভান্ডার থেকে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে পারেন যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে। তিনি কাফিরদেরকে ভালবাসেন না।
তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দানের জন্য ও তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করানোর জন্য। তাঁর নির্দেশে নৌযান চলে যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।
তোমার পূর্বে আমি রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম তাদের নিজ নিজ জাতির নিকট। তারা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল। অতঃপর যারা অন্যায় করেছিল আমি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিলাম। মু’মিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।
আল্লাহ যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালার সঞ্চার করে, অতঃপর তিনি তা আকাশে ছড়িয়ে দেন যেভাবে ইচ্ছে করেন, অতঃপর তাকে খন্ড বিখন্ড করে দেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মাঝ থেকে বৃষ্টি-ফোঁটা নির্গত হচ্ছে, অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যাদের নিকট তিনি ইচ্ছে করেন তাদের কাছে যখন তা পৌঁছে দেন তখন তারা হয় আনন্দিত।
যদিও ইতোপূর্বে তাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বে তারা ছিল চরমভাবে হতাশ।
অতএব আল্লাহর রহমাতের ফল দেখে নাও, কীভাবে তিনি ভূমিকে তার মৃত্যুর পর জীবিত করেন। এভাবেই নিশ্চয় তিনি মৃতকে জীবিত করবেন, কেননা সব কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান।