Skip to main content

تُوْلِجُ الَّيْلَ فِى النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِى الَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاۤءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ  ( آل عمران: ٢٧ )

You cause to enter
تُولِجُ
তুমি প্রবেশ করাও
the night
ٱلَّيْلَ
রাতকে
in
فِى
মধ্যে
the day
ٱلنَّهَارِ
দিনের
and You cause to enter
وَتُولِجُ
আবার তুমি প্রবেশ করাও
the day
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
in
فِى
মধ্যে
the night
ٱلَّيْلِۖ
রাতের
and You bring forth
وَتُخْرِجُ
এবং তুমি বের কর
the living
ٱلْحَىَّ
জীবন্তকে
from
مِنَ
হতে
the dead
ٱلْمَيِّتِ
মৃত
and You bring forth
وَتُخْرِجُ
আবার বের কর তুমি
the dead
ٱلْمَيِّتَ
মৃতকে
from
مِنَ
হতে
the living
ٱلْحَىِّۖ
জীবন্ত
and You give provision
وَتَرْزُقُ
এবং রিয্‌ক দাও তুমি
(to) whom
مَن
যাকে
You will
تَشَآءُ
তুমি ইচ্ছে কর
without
بِغَيْرِ
ছাড়াই
measure"
حِسَابٍ
কোন হিসেব''

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তুমিই রাতকে দিনের ভিতর আর দিনকে রাতের ভিতর ঢুকিয়ে দাও, তুমিই জীবিতকে মৃত হতে বের কর এবং মৃতকে জীবিত হতে বের কর আর যাকে ইচ্ছে বেহিসাব রিয্ক্ব দান কর।

English Sahih:

You cause the night to enter the day, and You cause the day to enter the night; and You bring the living out of the dead, and You bring the dead out of the living. And You give provision to whom You will without account [i.e., limit or measure]."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করাও,[১] তুমিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটাও, আবার জীবন্ত থেকে মৃতের আবির্ভাব ঘটাও। [২] তুমি যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দান করে থাক।’

[১] রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করানোর অর্থ হল ঋতুর পরিবর্তন। যখন রাত লম্বা হয়, তখন দিন ছোট হয়ে যায়। আবার অন্য ঋতুতে যখন দিন বড় হয়, তখন রাত ছোট হয়ে যায়। অর্থাৎ, কখনো রাতের অংশকে দিনের মধ্যে এবং দিনের অংশকে রাতের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। যার কারণে রাত ও দিন ছোট-বড় হয়ে যায়।

[২] যেমন (মৃত) বীর্য যা জীবন্ত মানুষ থেকে বের হয়। অতঃপর সেই মৃত (বীর্য) থেকে বের হয় জীবন্ত মানুষ। অনুরূপ মৃত ডিম থেকে প্রথমে মুরগী, তারপর জীবন্ত মুরগী থেকে (মৃত) ডিম অথবা কাফের থেকে মু'মিন এবং মু'মিন হতে কাফের সৃষ্টি হয়। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, মুআ'য (রাঃ) নবী করীম (সাঃ)-কে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বললেন, তুমি [اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ] আয়াতটি পাঠ করে এই দু'আটি করো, ((رَحْمَنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَرَحِيْمَهُمَا تُعْطِيْ مَنْ تَشَاءُ مِنْهُمَا وَتَمْنَعُ مَنْ تَشَاءُ، ارْحَمْنِيْ رَحْمَةً تُغْنِيْنِيْ بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ، اللَّهُمَّ أَغْنِنِيْ مِنَ الْفَقْرِ، وَاقْضِ عَنِّيْ الدَّيْنَ)) অপর আর এক বর্ণনায় এসেছে, "এটা এমন একটি দু'আ যে, তোমার উপর উহুদ পাহাড় সমানও যদি ঋণ থাকে, মহান আল্লাহ সে ঋণকেও তোমার জন্য আদায় করার ব্যবস্থা করে দিবেন।"

(মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ ১০/১৮৬ হাদীসের বর্ণনাকারীরা সবাই নির্ভরযোগ্য)