তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি তোমার সাথে (ঈসার সম্বন্ধে) বিতর্ক করবে তাকে বল, ‘আসো, আমাদের পুত্রদেরকে এবং তোমাদের পুত্রদেরকে আর আমাদের নারীদেরকে এবং তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের নিজেদেরকে আহবান করি, অতঃপর আমরা মুবাহলা করি আর মিথ্যুকদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষণ করি।
নিশ্চয়ই এটা প্রকৃত ঘটনা। আল্লাহ ছাড়া অন্য সত্য ইলাহ নেই। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
তা’ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ কলহ সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে বিশেষভাবে অবহিত।
বল, ‘হে আহলে কিতাব! এমন এক কথার দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই, তা এই যে, আমরা আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো ‘ইবাদাত করব না এবং কোন কিছুকে তাঁর শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না। তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা এ বিষয়ে সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী।
হে আহলে কিতাব! তোমরা কেন ইবরাহীম সম্পর্কে তর্ক করছ? তাওরাত এবং ইঞ্জিল তো তারপরেই অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা কি তাও বুঝ না?
বস্তুতঃ তোমরাই এমন লোক যে, যে সম্পর্কে তোমাদের কিছু জ্ঞান আছে, সে বিষয়ে তো বিতর্ক করেছ, তোমরা এমন বিষয়ে কেন বিতর্ক করছ যে বিষয়ে তোমাদের কোনই জ্ঞান নেই? বস্তুতঃ আল্লাহ্ই জ্ঞাত আছেন, তোমরা জ্ঞাত নও।
ইবরাহীম না ইয়াহূদী ছিল, না নাসারা, বরং একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী এবং সে মুশরিক দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
নিশ্চয় ইবরাহীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় সেই লোকেরাই অধিক হকদার যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নাবী, আর যারা ঈমান এনেছে, বস্তুতঃ আল্লাহ মু’মিনদের অভিভাবক।
কিতাবধারীদের একদল চায় যাতে তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে পারে, অথচ তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকেও পথভ্রষ্ট করে না, কিন্তু তারা উপলব্ধি করতে পারে না।
হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করছ, অথচ তোমরা নিজেরাই তার সাক্ষী?