কোন নাবী খিয়ানাত করতে পারে না, যে ব্যক্তি খিয়ানাত করবে, সে খিয়ানাতকৃত বস্তুসহ ক্বিয়ামাতের দিন উপস্থিত হবে, অতঃপর প্রত্যেককে যা সে অর্জন করেছে তা পুরোপুরি দেয়া হবে, কারও প্রতি কোন প্রকার যুলম করা হবে না।
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুসরণ করে, সে কি আল্লাহর আক্রোশে পতিত লোকের ন্যায় হতে পারে? তার নিবাস হল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
আল্লাহর নিকট তাদের বিভিন্ন মর্যাদা রয়েছে, বস্তুতঃ তারা যা কিছুই করছে, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
নিশ্চয় আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত অনুকম্পা প্রদর্শন করেছেন, যখন তাদের নিকট তাদের নিজস্ব একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছেন, সে তাদেরকে আল্লাহর আয়াত পড়ে শুনাচ্ছে, তাদেরকে পরিশোধন করছে, তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত (সুন্নাহ) শিক্ষা দিচ্ছে, যদিও তারা পূর্বে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল।
কী ব্যাপার! তোমাদের উপর যখন বিপদ এসেছে অথচ তোমরা তো (বদর যুদ্ধে তোমাদের শত্রুদের) এটা অপেক্ষা দ্বিগুণ বিপদ ঘটিয়েছিলে, এখন তোমরা বলছ, ‘এটা কোথেকে আসল’? (তাদেরকে) বল, ‘ওটা তোমাদের নিজেদের নিকট থেকেই এসেছে’, নিশ্চয় আল্লাহ সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।
দু’দল পরস্পরের সম্মুখীন হওয়ার দিন যে বিপদ পৌঁছেছিল, তা আল্লাহর হুকুমে ঘটেছিল, এর উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত মু’মিনদেরকে জেনে নেয়া।
আর মুনাফিকদেরকেও জেনে নেয়া। তাদেরকে বলা হয়েছিল; এসো, ‘আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, কিংবা (কমপক্ষে) নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা কর’। তখন তারা বলল, ‘যদি আমরা জানতাম যুদ্ধ হবে, তাহলে অবশ্যই তোমাদের অনুসরণ করতাম’। তারা ঐ দিন ঈমানের চেয়ে কুফরীরই নিকটতম ছিল, তারা মুখে এমন কথা বলে যা তাদের অন্তরে নেই, যা কিছু তারা গোপন করে আল্লাহ তা বিশেষরূপে জ্ঞাত আছেন।
যারা বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বন্ধে বলতে লাগল, আমাদের কথামত চললে তারা নিহত হত না। বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের নিজেদের উপর থেকে মরণকে হটিয়ে দাও।
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত ভেব না, বরং তারা জীবিত, তাদের প্রতিপালকের সান্নিধ্যে থেকে তারা রিযকপ্রাপ্ত হচ্ছে।
আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা লাভ করে তারা আনন্দিত আর যে সব ঈমানদার লোক তাদের পেছনে (পৃথিবীতে) রয়ে গেছে, এখনও তাদের সাথে এসে মিলিত হয়নি, তাদের কোন ভয় ও চিন্তে নেই জেনে তারা আনন্দিত।