এবং (এ জন্যেও) যেন আল্লাহ মু’মিনদেরকে সংশোধন করেন ও কাফিরদের নিশ্চিহ্ন করেন।
তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখন পর্যন্তও পরখ করেননি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে আর কারা ধৈর্যশীল।
(শাহাদাতের) মৃত্যুর সাক্ষাৎ লাভের পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো তোমরা তা দিব্যদৃষ্টিতে দেখলে।
মুহাম্মাদ হচ্ছে একজন রসূল মাত্র, তাঁর পূর্বে আরও অনেক রসূল গত হয়েছে; কাজেই যদি সে মারা যায় কিংবা নিহত হয়, তবে কি তোমরা উল্টাদিকে ঘুরে দাঁড়াবে? এবং যে ব্যক্তি উল্টাদিকে ফিরে দাঁড়ায় সে আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং আল্লাহ কৃতজ্ঞদেরকে অতিশীঘ্র বিনিময় প্রদান করবেন।
কোন জীবই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মরতে পারে না, তার মেয়াদ নির্ধারিত। যে ব্যক্তি পার্থিব ফল চায়, আমি তাত্থেকে তাকে দেই, আর যে ব্যক্তি আখেরাতের ফল চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই এবং কৃতজ্ঞদেরকে আমি শীঘ্রই বিনিময় প্রদান করব।
কত নাবী যুদ্ধ করেছে, তাদের সাথে ছিল বহু লোক, তখন তারা আল্লাহর পথে তাদের উপর সংঘটিত বিপদের জন্য হীনবল হয়নি, দুর্বল হয়নি, দুর্বল, অপারগ হয়নি, বস্তুতঃ আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে ভালবাসেন।
তাদের মুখ হতে কেবল এ কথাই বেরিয়েছিল- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মে বাড়াবাড়িগুলোকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আমাদেরকে দৃঢ়পদ রেখ এবং কাফিরদলের উপর আমাদেরকে সাহায্য কর।’
সুতরাং আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব সুফল প্রদান করলেন আর পরকালীন উৎকৃষ্ট সুফল। আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন।
হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা কাফিরদের আনুগত্য কর তাহলে তারা তোমাদেরকে পশ্চাদ্দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, তখন তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
বরং আল্লাহ্ই তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।