নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে এবং সেই কাফির অবস্থায়ই মারা যায়, তাদের কেউ পৃথিবী-ভরা স্বর্ণও বিনিময় স্বরূপ প্রদান করতে চাইলে তা তার কাছ থেকে কক্ষণো গ্রহণ করা হবে না। এরাই তারা যাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ করবে না, যা কিছু তোমরা খরচ কর-নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে খুব ভালভাবেই অবগত।
তাওরাত নাযিলের পূর্বে ইয়াকুব নিজের উপর যা হারাম করেছিল, তাছাড়া সকল খাদ্য বানী ইসরাঈলের জন্য হালাল ছিল। বল, ‘তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো, এবং তা পাঠ কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
এরপরও যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যারোপ করবে, তারা যালিম।
বল, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন, সুতরাং তোমরা একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের অনুসরণ কর, সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়’।
নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল, তাতো মক্কা্য়, যা বরকতমন্ডিত এবং সারা জাহানের জন্য পথপ্রদর্শক।
তাতে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে (যেমন) মাক্বামে ইবরাহীম(ইবরাহীমের দাঁড়ানোর জায়গা)। যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে নিরাপদ হবে। আল্লাহর জন্য উক্ত ঘরের হাজ্জ করা লোকেদের উপর আবশ্যক যার সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে এবং যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে, (সে জেনে রাখুক) নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্ব জাহানের মুখাপেক্ষী নন।
বল, ‘হে কিতাবধারীগণ! তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে কেন অমান্য করছ? বস্তুতঃ তোমরা যা করছ, আল্লাহ তার সাক্ষী’।
বল, হে কিতাবধারীগণ! যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে তাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিচ্ছ, ওকে বক্র করার পথ খুঁজছ, অথচ তোমরাই (এ পথের সত্যতার) সাক্ষী? এমতাবস্থায় আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী সম্বন্ধে বে-খবর নন।
হে মু’মিনগণ! তোমরা যদি কিতাবীদের মধ্য হতে কোন দলের কথা মেনে নাও, তবে তারা তোমাদের ঈমান আনার পর আবার তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে ছাড়বে।