Skip to main content

قَالَ الَّذِيْنَ حَقَّ عَلَيْهِمُ الْقَوْلُ رَبَّنَا هٰٓؤُلَاۤءِ الَّذِيْنَ اَغْوَيْنَاۚ اَغْوَيْنٰهُمْ كَمَا غَوَيْنَاۚ تَبَرَّأْنَآ اِلَيْكَ مَا كَانُوْٓا اِيَّانَا يَعْبُدُوْنَ   ( القصص: ٦٣ )

(Will) say
قَالَ
বলবে
those
ٱلَّذِينَ
তারা
(has) come true
حَقَّ
অবধারিত হয়েছে
against whom
عَلَيْهِمُ
উপর যাদের
the Word
ٱلْقَوْلُ
(এই) কথাটি
"Our Lord!
رَبَّنَا
"হে আমার রব
These
هَٰٓؤُلَآءِ
এরাই
(are) those whom
ٱلَّذِينَ
(তারা) যাদেরকে
we led astray
أَغْوَيْنَآ
পথভ্রষ্ট করেছিলাম আমরা
We led them astray
أَغْوَيْنَٰهُمْ
পথভ্রষ্ট করেছিলাম আমরা তাদেরকে
as
كَمَا
যেমন
we were astray
غَوَيْنَاۖ
পথভ্রষ্ট হয়েছিলাম আমরা
We declare our innocence
تَبَرَّأْنَآ
দায়মুক্ত বলে ঘোষণা করছি আমরা
before You
إِلَيْكَۖ
আপনার কাছে
Not
مَا
না
they used (to)
كَانُوٓا۟
তারা ছিলো
worship us"
إِيَّانَا
আমাদের"
worship us"
يَعْبُدُونَ
ইবাদাত করতো"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারা বলবে- ‘হে আমাদের পালনকর্তা! ওদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম, ওদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, যেমন আমরা নিজেরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম, আমরা তোমার কাছে দায়মুক্ত হচ্ছি (যে আমরা জোর ক’রে তাদেরকে বিভ্রান্ত করিনি)। এরা তো আমাদের ‘ইবাদাত করত না।

English Sahih:

Those upon whom the word will have come into effect will say, "Our Lord, these are the ones we led to error. We led them to error just as we were in error. We declare our disassociation [from them] to You. They did not used to worship [i.e., obey] us."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যাদের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে তারা বলবে,[১] ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যাদেরকে আমরা পথভ্রান্ত করেছিলাম --এরা তারা।[২] এদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।[৩] এদের জন্য আমরা দায়ী নই।[৪] এরা আমাদের পূজা করত না।’ [৫]

[১] অর্থাৎ, যারা আল্লাহর আযাবের যোগ্য বিবেচিত হবে যেমন, বড় বড় অবাধ্য শয়তান এবং কুফরী ও শিরকের দিকে আহবানকারী নেতা প্রভৃতিরা বলবে।

[২] এখানে ঐ সকল মূর্খ জনসাধারণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যাদেরকে শয়তান এবং কুফরী ও শিরকের দিকে আহবানকারী নেতারা পথভ্রষ্ট করেছিল।

[৩] অর্থাৎ, আমরা তো পথভ্রষ্ট ছিলামই; কিন্তু তাদেরকেও নিজেদের সঙ্গে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। উদ্দেশ্য এই যে, আমরা তাদের প্রতি কোন প্রকার জোর-জবরদস্তি বা বল প্রয়োগ করিনি; বরং আমাদের সামান্যতম ইশারাতেই তারা আমাদের মতই ভ্রষ্ট পথ অবলম্বন করেছিল।

[৪] আমরা তাদের সাথে সম্পর্কহীন ও তাদের থেকে পৃথক। তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। মোটকথা, দুনিয়ায় অনুসারী ও অনুসৃত বা গুরু-শিষ্য কিয়ামতে এক অপরের শত্রু হয়ে যাবে।

[৫] বরং বাস্তবে তারা নিজেদের প্রবৃত্তির পূজা ও দাসত্ব করত। অর্থাৎ, আজ পৃথিবীতে যাদের ইবাদত, দাসত্ব ও পূজা হচ্ছে তারা সকলে নিজেদের ইবাদত, দাসত্ব ও পূজার কথা অস্বীকার করবে। এই বিষয়টি কুরআনে বিভিন্ন জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ সূরা বাক্বারাহ ২;১৬৬-১৬৭, সূরা আনআম ৬;৪৯, সূরা মারয়্যাম ১৯;৮১-৮২, সূরা আহক্বাফ ৪৬;৫-৬, সূরা আনকাবূত ২৯;২৫ নং আয়াত দ্রষ্টব্য।