আমি তাদেরকে নেতা করেছিলাম। তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করত, ক্বিয়ামতের দিন তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
এ পৃথিবীতে তাদের পেছনে আমি লাগিয়ে দিয়েছি অভিসম্পাত আর ক্বিয়ামতের দিন তারা হবে দুর্দশাগ্রস্ত
আমি পূর্ববর্তী অনেক মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার পর মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম- মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, সত্যপথের নির্দেশ ও রহমতস্বরূপ যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
মূসাকে যখন আমি নির্দেশনামা দিয়েছিলাম তখন তুমি (তূওয়া উপত্যকার) পশ্চিম প্রান্তে ছিলে না, আর ছিলে না তুমি প্রত্যক্ষদর্শী।
কিন্তু আমি অনেক মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছিলাম, অতঃপর তাদের অনেক যুগ গত হয়ে গেছে। তুমি মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলে না তাদের কাছে আমার আয়াত আবৃত্তি করার জন্য, কিন্তু (তাদের মাঝে) রসূল প্রেরণকারী আমিই ছিলাম।
আমি যখন (মূসাকে) ডাক দিয়েছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে ছিলে না। কিন্তু (তোমাকে পাঠানো হয়েছে) তোমার প্রতিপালকের রহমতস্বরূপ যাতে তুমি এমন একটি সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের কাছে তোমার পূর্বে সতর্ককারী পাঠানো হয়নি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
রসূল না পাঠালে তাদের কৃতকর্মের কারণে কোন বিপদ হলে তারা বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কাছে রসূল পাঠালে না কেন, পাঠালে তোমার আয়াতসমূহের অনুসরণ করতাম আর আমরা মু’মিন হয়ে যেতাম।’
অতঃপর আমার নিকট থেকে তাদের কাছে যখন সত্য আসল তখন তারা বলল- ‘মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তাকে কেন সেরূপ দেয়া হল না? ইতোপূর্বে মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তারা কি তা অস্বীকার করেনি?’ তারা বলেছিল- ‘দু’টোই যাদু, একটা আরেকটার সহায়তাকারী। আর তারা বলেছিল আমরা (তাওরাত ও কুরআন) সবই প্রত্যাখ্যান করি।’
বল, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহর নিকট হতে এমন কিতাব নিয়ে এসো যা সত্যপথ নির্দেশ করার ব্যাপারে এ দু’ (কিতাব) হতে অধিক উৎকৃষ্ট, আমি সে কিতাবের অনুসরণ করব।
অতঃপর তারা যদি তোমার কথায় সাড়া না দেয় তাহলে জেনে রেখ, তারা শুধু তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর পথ নির্দেশ ছাড়াই যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে আছে? আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।