মূসার মা মূসার বোনকে বলল- ‘তার পিছনে পিছনে যাও।’ সে দূর থেকে তাকে দেখছিল কিন্তু তারা টের পায়নি।
আগে থেকে আমি তাকে ধাত্রী-স্তন্য পান থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার বোন বলল- ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা পরিবারের খোঁজ দেব যারা তাকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে আর তারা হবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী।’
এভাবে আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনলাম যাতে তার চোখ জুড়ায়, সে দুঃখ না করে আর জানতে পারে যে, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
মূসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল আর পূর্ণ পরিণত হল, তখন আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম; আমি সৎকর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি।
সে শহরে প্রবেশ করল যখন সেখানের লোকেরা অসতর্ক অবস্থায় ছিল। তখন সে দু’জন লোককে সংঘর্ষরত অবস্থায় পেল। একজন তার দলের, অপরজন তার শত্রুদলের। তখন তার দলের লোকটি তার শত্রুদলের লোকটির বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানালো। তখন মূসা তাকে ঘুসি মারল এবং হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল- ‘এটা শয়ত্বানের কাজ। সে নিশ্চয় প্রকাশ্য শত্রু, গুমরাহকারী।’
সে বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি নিজের আত্মার উপর যুলম করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ অতঃপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন, অবশ্যই তিনি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছ, কাজেই আমি কক্ষনো পাপীদের সাহায্যকারী হব না।’
শহরে তার সকাল হল ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। হঠাৎ সে শুনল যে লোকটি গতকাল তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল (আবার) সে সাহায্যের জন্য চীৎকার করছে। মূসা তাকে বলল- ‘তুমি প্রকাশ্যই একজন বেওকুফ লোক।
অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রুকে ধরতে উদ্যত হল, তখন সে বলল- ‘ওহে মূসা! তুমি কি আমাকে হত্যা করতে চাও যেভাবে গতকাল একটা লোককে হত্যা করেছ, তুমি তো পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হতে চাচ্ছ, সংশোধনকারীদের মধ্যে গণ্য হতে চাচ্ছ না।’
নগরের প্রান্ত হতে এক লোক ছুটে আসল। সে বলল- ‘হে মূসা! পারিষদগণ তোমাকে হত্যার পরামর্শ করছে, কাজেই তুমি বাইরে চলে যাও, আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী।