আর তুমি অন্ধকেও তাদের গুমরাহী থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সৎপথ দেখাতে পারবে না। তুমি কেবল তাদেরকেই শুনাতে পারবে যারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে, কাজেই তারা আত্মসমর্পণ করে।
তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি যখন বাস্তবে পরিণত হবে, আমি তখন (কিয়ামাত আগমণের নির্দশন হিসেবে) ভূমি থেকে তাদের জন্য একটি জন্তু বের করব যা তাদের সঙ্গে এ কথা বলবে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না।
যেদিন আমি প্রত্যেকটি সম্প্রদায় হতে একটি দলকে সমবেত করব যারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছিল, অতঃপর তাদেরকে সারিবদ্ধ করা হবে।
যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে?
তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে ঘটে যাবে তাদের অন্যায় কার্যকলাপের কারণে আর তারা (তাদের পক্ষে) কোন কথা বলতে পারবে না।
তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি রাত বানিয়েছি যাতে তারা তাতে আরাম করতে পারে আর দিনকে করেছি আলো দানকারী? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে।
আর যে দিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন যারা আকাশে আছে আর যারা যমীনে আছে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদের জন্য ইচ্ছে করবেন তারা বাদে। সবাই তাঁর কাছে আসবে বিনয়ে অবনত হয়ে।
তুমি পর্বতগুলোকে দেখ আর মনে কর তা অচল, কিন্তু সেগুলো চলমান হবে যেমন মেঘমালা চলে। এটা আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্য, যিনি সব কিছুকে করেছেন যথাযথ। তোমরা যা কিছু কর সে সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণরূপে অবগত।
যারা সৎকাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, তাদের জন্য আছে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান, সেদিন তারা ভীতি শঙ্কা থেকে নিরাপদ থাকবে।
যারা অসৎকর্ম নিয়ে হাজির হবে, তাদেরকে মুখের ভরে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, (আর তাদেরকে বলা হবে) তোমরা যা করতে কেবল তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।