আমার প্রতি উদ্ধত হয়ো না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।
সে বলল, ওহে সভাসদরা! তোমরা আমার কর্তব্য সম্পর্কে আমাকে সিদ্ধান্ত দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতীত আমি কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।’
তারা বলল- ‘আমরা শক্তির অধিকারী ও কঠোর যোদ্ধা, কিন্তু সিন্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী আপনিই, কাজেই চিন্তা করে দেখুন, আপনি কী আদেশ করবেন।’
সে বলল- ‘রাজারা যখন কোন জনপদে ঢুকে তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং তথাকার সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে অপমানিত করে ছাড়ে আর এরাও তাই করবে।
আমি তাঁর কাছে উপঢৌকন পাঠাচ্ছি, তারপর দেখি, দূতেরা কী (জবাব) নিয়ে আসে।’
অতঃপর দূতরা যখন সুলাইমানের কাছে আসল, সুলাইমান বলল- ‘তোমরা কি আমাকে সম্পদ দিয়ে সাহায্য করছ, কিন্তু আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম, বরং তোমরাই তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে আনন্দ কর।
তাদের কাছে ফিরে যাও, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব যার মুকাবালা করার শক্তি তাদের নেই, আমি অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে অপমানিত করে সেখানে থেকে বের করে দেব আর তারা হবে অপদস্থ।’
সুলাইমান বলল- ‘হে সভাসদবর্গ! তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার নিকট নিয়ে আসবে?’
এক শক্তিধর জ্বিন বলল- ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে উঠবার আগে আমি তা আপনার কাছে এনে দেব, এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।
যার কাছে কিতাবের (তাওরাতের) জ্ঞান ছিল সে বলল- ‘আপনার দৃষ্টি আপনার দিকে ফিরে আসার পূর্বেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব।’ সুলাইমান যখন তা তার সামনে রক্ষিত দেখতে পেল তখন সে বলল- ‘এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ, আমাকে পরীক্ষা করার জন্য- আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞ হই। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয় (সে জেনে রাখুক), নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ।’