وَتَذَرُوْنَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِّنْ اَزْوَاجِكُمْۗ بَلْ اَنْتُمْ قَوْمٌ عٰدُوْنَ ( الشعراء: ١٦٦ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এবং তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে ত্যাগ কর? রবং তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’
English Sahih:
And leave what your Lord has created for you as mates? But you are a people transgressing."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এবং তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক; [১] বরং তোমরা তো সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’ [২]
[১] এটি ছিল লূত জাতির সব থেকে বড় কুঅভ্যাস। পৃথিবীর ইতিহাসে যার প্রথম সূত্রপাত হয়েছিল এদেরই নিকট হতে। সেই জন্য এই কুকাজকে আরবীতে 'লূত্বিয়্যাহ' এবং উর্দুতে 'লেওয়াত্বাত' বলা হয়। অর্থাৎ, এমন পাপকর্ম যার সূত্রপাত লূত নবীর সম্প্রদায় দ্বারা হয়েছে। কিন্তু এখন এই পাপ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে। বরং ইউরোপে একে আইনতঃ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এখন তাদের নিকট এটা কোন পাপ বলেই গণ্য নয়। যে জাতির নৈতিক চরিত্র এত বিগড়ে গেছে যে, নারী-পুরুষের (পরস্পর সম্মতিক্রমে) অবৈধ যৌন-মিলন তাদের নিকট অন্যায় নয়, পাপ নয়, সে জাতির নিকট দুই পুরুষের আপোসের যৌন-মিলন (সমকামিতা) কিভাবে পাপ ও অন্যায়রূপে গণ্য হতে পারে? (আল্লাহ আমাদেরকে উক্ত প্রকার নৈতিক অবক্ষয় হতে রক্ষা করুন।)
[২] عَادُون শব্দটি عَادٍ শব্দের বহুবচন। আরবীতে عَادٍ শব্দের অর্থ সীমা অতিক্রমকারী। অর্থাৎ, সত্যকে ছেড়ে অসত্য ও হালালকে ছেড়ে হারাম এখতিয়ারকারী। মহান আল্লাহ শরয়ী বিবাহ-বন্ধন দ্বারা নারীর লজ্জাস্থানকে ব্যবহার করে নিজ যৌন-বাসনা পূর্ণ করা হালাল করেছেন এবং এ কাজের জন্য পুরুষ (তথা স্ত্রীর) পায়খানা-দ্বারকে ব্যবহার করা হারাম করেছেন। লূত-সম্প্রদায় স্ত্রীর যোনিপথ বর্জন করে পুরুষদের পায়ুদ্বার ব্যবহার করত বলে তারা সীমা অতিক্রমকারীরূপে গণ্য হয়েছে।