Skip to main content

فَقَدْ كَذَّبُوْكُمْ بِمَا تَقُوْلُوْنَۙ فَمَا تَسْتَطِيْعُوْنَ صَرْفًا وَّلَا نَصْرًاۚ وَمَنْ يَّظْلِمْ مِّنْكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيْرًا  ( الفرقان: ١٩ )

"So verily
فَقَدْ
"তখন নিশ্চয়ই
they deny you
كَذَّبُوكُم
তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে তোমাদেরকে
in what
بِمَا
ঐবিষয় যা
you say
تَقُولُونَ
তোমরা বলছো
so not
فَمَا
সুতরাং না
you are able
تَسْتَطِيعُونَ
তোমরা পারবে
(to) avert
صَرْفًا
ফিরাতে (শাস্তি)
and not
وَلَا
আর না
(to) help"
نَصْرًاۚ
সাহায্যও (পাবে)"
And whoever
وَمَن
আর যে
does wrong
يَظْلِم
সীমালঙ্ঘন করবে
among you
مِّنكُمْ
তোমাদের মধ্য হ'তে
We will make him taste
نُذِقْهُ
তাকে আস্বাদ করাবো আমরা
a punishment
عَذَابًا
শাস্তি
great
كَبِيرًا
গুরুতর

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন) ‘তোমরা যা বলতে সে ব্যাপারে তারা তোমাদেরকে মিথ্যে প্রমাণিত করেছে। কাজেই তোমরা না পারবে (তোমাদের শাস্তি) প্রতিরোধ করতে আর না পাবে সাহায্য। তোমাদের মধ্যে যে অন্যায়কারী আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব।

English Sahih:

So they will deny you, [disbelievers], in what you say, and you cannot avert [punishment] or [find] help. And whoever commits injustice among you – We will make him taste a great punishment.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ অংশীবাদীদেরকে বলবেন, ‘তোমরা যা বলতে, ওরা তা মিথ্যা মনে করেছে। সুতরাং তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং কোন সাহায্যও পাবে না।’[১] আর তোমাদের মধ্যে যে সীমালংঘন করবে,[২] আমি তাকে মহাশাস্তি আস্বাদ করাব।

[১] এটি আল্লাহর কথা, যা তিনি মুশরিকদেরকে সম্বোধন করে বলবেন যে, তোমরা যাদেরকে মা'বূদ ধারণা করতে, তারা তোমাদেরকে তোমাদের কথায় মিথ্যুক প্রমাণিত করেছে এবং তোমরা এও দেখছ যে, তারা তোমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ঘোষণা করে দিয়েছে। অর্থাৎ, তোমরা যাদেরকে সাহায্যকারী মনে করতে, তারা তোমাদের সাহায্যকারী নয়। এখন তোমাদের মধ্যে এমন শক্তি আছে কি, যার দ্বারা আমার আযাব রদ্দ্ করতে পারো এবং নিজেদের সাহায্য করতে পার?

[২] যুলম বা সীমালঙ্ঘন বলতে শিরককেই বুঝানো হয়েছে, যেমন পূর্বাপর বাগধারা হতে স্পষ্ট হয়। আর কুরআনেও সুরা লুকমান ১৩ আয়াতে শিরকে বড় যুলম (মহা অন্যায়) বলে অবিহিত করা হয়েছে।