اَوْ كَظُلُمٰتٍ فِيْ بَحْرٍ لُّجِّيٍّ يَّغْشٰىهُ مَوْجٌ مِّنْ فَوْقِهٖ مَوْجٌ مِّنْ فَوْقِهٖ سَحَابٌۗ ظُلُمٰتٌۢ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍۗ اِذَآ اَخْرَجَ يَدَهٗ لَمْ يَكَدْ يَرٰىهَاۗ وَمَنْ لَّمْ يَجْعَلِ اللّٰهُ لَهٗ نُوْرًا فَمَا لَهٗ مِنْ نُّوْرٍ ࣖ ( النور: ٤٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
অথবা (কাফিরদের অবস্থা) বিশাল গভীর সমুদ্রে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ঢেউয়ের উপরে ঢেউ, তার উপরে মেঘ, একের পর এক অন্ধকারের স্তর, কেউ হাত বের করলে সে তা একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে আলো দান করেন না, তার জন্য কোন আলো নেই।
English Sahih:
Or [they are] like darknesses within an unfathomable sea which is covered by waves, upon which are waves, over which are clouds – darknesses, some of them upon others. When one puts out his hand [therein], he can hardly see it. And he to whom Allah has not granted light – for him there is no light.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অথবা (ওদের কর্মের উপমা) গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকার সদৃশ,[১] তরঙ্গের উপর তরঙ্গ যাকে আচ্ছন্ন করে, যার ঊর্ধ্বদেশে ঘন মেঘ, এক অন্ধকারের উপর আর এক অন্ধকার, কেউ নিজ হাত বার করলে তা প্রায় দেখতেই পায় না।[২] আর আল্লাহ যাকে আলো দান করেন না, তার জন্য কোন আলো নেই।[৩]
[১]( সমুদ্রের প্রায় ৩০০ মিটার গভীরে ঘন অন্ধকার রয়েছে। এখানে রয়েছে অভ্যন্তরীণ তরঙ্গ। এখানে বসবাসকারী প্রাণীদের নিজস্ব আলো আছে, যার মাধ্যমে চলাফেরা করে থাকে। -সম্পাদক
[২] এটি দ্বিতীয় উপমা, তাদের আমল অন্ধকারের ন্যায়। অর্থাৎ, তাদের আমলগুলি মরীচিকার মত অথবা অন্ধকারের মত। অথবা আগের উপমা ছিল কাফেরদের আমলের। আর এটি তাদের কুফরের উপমা, যার মধ্যে একজন কাফের সারা জীবন নিমজ্জিত থাকে। কুফর, অবিশ্বাস, অস্বীকার, মিথ্যাজ্ঞান ও ভ্রষ্টতার অন্ধকার, নিকৃষ্ট আমল ও শিরকী বিশ্বাসের অন্ধকার এবং প্রতিপালক ও তাঁর পরকালের আযাব সম্বন্ধে অজ্ঞানতার অন্ধকার। এই সমস্ত অন্ধকার তাকে হিদায়াতের কোন পথই দেখতে দেয় না; যেমন অন্ধকারে মানুষ তার নিজের হাতও দেখতে পায় না।
[৩] অর্থাৎ পৃথিবীতে ঈমান ও ইসলামের আলো ভাগ্যে জোটে না। আর আখেরাতে ঈমানদাররা যে আলো পাবে, তা থেকেও বঞ্চিত থাকবে।