وَقَالَ الْمَلَاُ مِنْ قَوْمِهِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَكَذَّبُوْا بِلِقَاۤءِ الْاٰخِرَةِ وَاَتْرَفْنٰهُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَاۙ مَا هٰذَآ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْۙ يَأْكُلُ مِمَّا تَأْكُلُوْنَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُوْنَ ( المؤمنون: ٣٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
কিন্তু তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ- যারা কুফুরী করেছিল, আর আখিরাতের সাক্ষাৎকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল, যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম- বলেছিল ; ‘সে তো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছু নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায়, তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।
English Sahih:
And the eminent among his people who disbelieved and denied the meeting of the Hereafter while We had given them luxury in the worldly life said, "This is not but a man like yourselves. He eats of that from which you eat and drinks of what you drink.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ,[১] যারা অবিশ্বাস করেছিল ও পরকালের সাক্ষাৎকে মিথ্যাজ্ঞান করেছিল এবং যাদেরকে আমি দিয়েছিলাম পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগ-সম্ভার,[২] তারা বলেছিল, ‘এ তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ; তোমরা যা আহার কর, সেও তো তা-ই আহার করে এবং তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।[৩]
[১] জাতির নেতারাই প্রতি যুগে নবী-রসূল ও সত্যপন্থীদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করায় সক্রিয় থেকেছে। যার কারণে জাতির অধিকাংশ মানুষই ঈমান গ্রহণে বঞ্চিত থেকেছে। কারণ, তারাই হল প্রভাবশালী ও জাতির মাথা, জাতি তাদের পিছনে পিছনে চলতে থাকে।
[২] পরকালে বিশ্বাস না করা ও পার্থিব সুখ-বিলাসের আতিশয্য -- এই দু'টি ছিল রসূলের উপর ঈমান না আনার মূল কারণ। আজও বাতিলপন্থীরা উক্ত দুই কারণে হকপন্থীদের বিরোধিতা ও সত্যের দাওয়াত হতে বিমুখতা অবলম্বন করে।
[৩] তারাও কেবল এই বলে অস্বীকার করল যে, এওতো আমাদের মতই খায়-পান করে। অতএব এ রাসুল কিভাবে হতে পারে! যেমন আজও ইসলামের বহু দাবিদার 'রাসুল (সাঃ) মানুষ ছিলেন' একথা স্বীকার করতে চায় না।