পূর্ব থেকেই আমার পক্ষ হতে যাদের জন্য কল্যাণ নির্ধারিত আছে তাদেরকে তাত্থেকে (অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে) বহু দূরে রাখা হবে।
তারা জাহান্নামের ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না, আর তারা তাদের মনের বাসনা অনুযায়ী চিরকাল বসবাস করবে।
মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তাযুক্ত করবে না, আর ফেরেশতাগণ তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাবে (এই কথা বলে যে), ‘এটাই তোমাদের দিন যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব যেমনভাবে (লিখিত) কাগজ-দলীল গুটিয়ে রাখা হয়। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে আবার সৃষ্টি করব। ওয়া‘দা আমি করেছি, তা আমি পূর্ণ করবই।
(এর আগে মূসাকে) বাণী দেয়ার পর আমি যুবূরে লিখে দিয়েছিলাম যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাহ্গণই পৃথিবীর উত্তরাধিকার লাভ করবে।
নিশ্চয়ই এতে (অর্থাৎ এই কুরআনে) উপদেশবাণী রয়েছে ‘ইবাদাতকারী লোকেদের জন্য।
আমি তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য পাঠিয়েছি কেবল রহমত হিসেবে।
বল- আমার প্রতি এ ওয়াহীই করা হয়েছে যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ, কাজেই তোমরা কি তাঁর নির্দেশের প্রতি মাথা নত করবে?
তবে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে বল ; আমি তোমাদের কাছে যথাযথভাবে বাণী পৌঁছে দিয়েছি। আর আমি জানি না তোমাদেরকে যার ওয়া‘দা দেয়া হয়েছে তা নিকটবর্তী, নাকি দূরবর্তী।
তিনি জানেন যে কথা প্রকাশ করা হয় আর তিনি জানেন যা তোমরা (তোমাদের অন্তরে) লুকিয়ে রাখ।