অতঃপর তারা (স্বামী-স্ত্রী) দু’জনে তা (অর্থাৎ সেই গাছ) থেকে খেল তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল আর তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে লাগল। আদাম তার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথভ্রান্ত হয়ে গেল।
এরপর তার পালনকর্তা তাকে বাছাই করলেন, তার তাওবাহ কবূল করলেন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করলেন।
তিনি বললেন, ‘তোমরা দু’জনে (আদাম ও ইবলীস) একই সঙ্গে নীচে নেমে যাও, তোমরা একে অপরের শত্রু। অতঃপর আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে সঠিক পথের নির্দেশ আসবে, তখন যে আমার পথ নির্দেশ অনুসরণ করবে সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না।
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ আর তাকে কিয়ামাতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ ক’রে উঠালে? আমি তো চক্ষুষ্মান ছিলাম।’
আল্লাহ বলবেন, ‘এভাবেই তো আমার নিদর্শনসমূহ যখন তোমার কাছে এসেছিল তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। আজকের দিনে সেভাবেই তোমাকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে।
আমি এভাবেই প্রতিফল দেই তাদেরকে যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস করে না। আর আখিরাতের ‘আযাব অবশ্যই সবচেয়ে বেশী কঠিন ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী।
এটাও কি তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করল না যে, আমি তাদের আগে কত মানব বংশকে ধ্বংস করে দিয়েছি যাদের বাসস্থানের ভিতর দিয়ে এরা চলাচল করে। বুদ্ধিমানদের জন্য অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে।
তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে (তাদের শাস্তি) অবশ্যই এসে পড়ত, কিন্তু এর জন্য নির্দিষ্ট আছে একটি সময়।
কাজেই তারা যা বলছে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাগীতি (নিয়মিত) উচ্চারণ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও তা অস্তমিত হওয়ার পূর্বে এবং তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও দিনের প্রান্তগুলোয় যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।