بِئْسَمَا اشْتَرَوْا بِهٖٓ اَنْفُسَهُمْ اَنْ يَّكْفُرُوْا بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ بَغْيًا اَنْ يُّنَزِّلَ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖ عَلٰى مَنْ يَّشَاۤءُ مِنْ عِبَادِهٖ ۚ فَبَاۤءُوْ بِغَضَبٍ عَلٰى غَضَبٍۗ وَلِلْكٰفِرِيْنَ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ ( البقرة: ٩٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তা কতই না নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা নিজেদের আত্মাকে বিক্রি করেছে, তা এই যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, জিদের বশে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত শুধু এজন্য যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে অনুগ্রহ করেন, অতএব তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হল এবং কাফিরদের জন্যই লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
English Sahih:
How wretched is that for which they sold themselves – that they would disbelieve in what Allah has revealed through [their] outrage that Allah would send down His favor upon whom He wills from among His servants. So they returned having [earned] wrath upon wrath. And for the disbelievers is a humiliating punishment.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তা কত নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা তাদের আত্মাকে বিক্রয় করেছে; তা এই যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তারা অবিশ্বাস করছে শুধু এই হঠকারিতার দরুন[১] যে, আল্লাহ তাঁর দাসদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। সুতরাং তারা ক্রোধের[২] উপর ক্রোধের পাত্র হল। আর (কাফের) অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।
[১] অর্থাৎ, এ কথা জানা সত্ত্বেও যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) সেই শেষ নবী, যাঁর গুণাবলীর কথা তাওরাত ও ইঞ্জীলে উল্লিখিত হয়েছে এবং আহলে কিতাব তাদের এক মুক্তিদাতা হিসেবে তাঁর আগমনের অপেক্ষাও করছিল, কিন্তু কেবল এই জ্বালায় ও হিংসায় তাঁর উপর ঈমান আনেনি যে, নবী আমাদের মধ্য থেকে কেন হল না, যেমন আমাদের ধারণা ছিল। অর্থাৎ, তারা (নবীর নবুঅতকে) অস্বীকার করেছিল জাতিগত বিদ্বেষ ও হিংসার ভিত্তিতে, দলীল ও প্রমাণের ভিত্তিতে নয়।
[২] ক্রোধের উপর ক্রোধের অর্থ হল, অত্যধিক ক্রোধ। কারণ, তারা বারবার ক্রোধ উদ্রেককর কাজ করতে থাকে; যেমন পূর্বে (৬১নং আয়াতের টীকায়) এর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র হিংসার কারণে ক্বুরআন ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে অস্বীকার করল।