۞ اَفَتَطْمَعُوْنَ اَنْ يُّؤْمِنُوْا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ يَسْمَعُوْنَ كَلَامَ اللّٰهِ ثُمَّ يُحَرِّفُوْنَهٗ مِنْۢ بَعْدِ مَا عَقَلُوْهُ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ ( البقرة: ٧٥ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমরা কি এই আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? অথচ তাদের একদল আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত ও বুঝার পর জেনে শুনে তা বিকৃত করত।
English Sahih:
Do you covet [the hope, O believers], that they would believe for you while a party of them used to hear the words of Allah and then distort it [i.e., the Torah] after they had understood it while they were knowing?
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(হে বিশ্বাসিগণ) তোমরা কি এখনো আশা কর যে, তোমাদের কথায় তারা বিশ্বাস করবে (ঈমান আনবে)? অথচ তাদের মধ্যে একদল লোক আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত এবং বুঝার পর জেনেশুনে তা বিকৃত করত। (১)
(১) ঈমানদারদেরকে সম্বোধন ক'রে ইয়াহুদীদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, তোমরা কি তাদের ঈমান আনার আশা পোষণ কর, অথচ তাদের পূর্বের লোকেদের মধ্যে একটি দল এমনও ছিল, যারা জেনে-শুনে আল্লাহর কালামের (শাব্দিক ও আর্থিক) হেরফের ঘটাত? এখানে জিজ্ঞাসাটা আসলে অস্বীকৃতিসূচক; অর্থাৎ এমন লোকের ঈমান আনার কোনই আশা নেই। অর্থ হল, দুনিয়ার স্বার্থে এবং জাতিগত পক্ষপাতিত্বের কারণে আল্লাহর বাণী বিকৃত করতে যাদের বাধে না, তারা ভ্রষ্টতার এমন পঙ্কে ফেঁসে গেছে যে সেখান থেকে বের হতে পারে না। উম্মতে মুহাম্মাদীর বহু উলামা ও মাশায়েখও দুর্ভাগ্যবশতঃ ক্বুরআন ও হাদীসের মধ্যে হেরফের ও বিকৃতি সাধনের কাজে জড়িত। আল্লাহ তাআলা এই অন্যায় থেকে আমাদেরকে হিফাযতে রাখুন! (দ্রষ্টব্যঃ সূরা নিসা ৪;৭৭ নং আয়াত)